প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন মানেই জাতীয় উন্নয়ন। আর জাতীয় উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে দেশের কর্মহীন বেকার জনগোষ্ঠিকে দক্ষ করে গড়ে তোলা ও পেশাজীবিদের পেশাগত মানোন্নয়নের পথ সুগম করে দেওয়া সরকারের গুরু দায়িত্ব। আর সে দায়িত্ব কখনোই সম্পূর্ণ হবেনা যদ্দিনে না জনসংখ্যার সঠিক সংখ্যা নিরূপন হবে। -এনএনসি
সারা দেশে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সাতদিনব্যাপী ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বিস্তারিত
এবারের জনশুমারি আগের আদম শুমারির মতো হবেনা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এবারের গণনায় নির্ভুলের নিশ্চয়তায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আগের বছরগুলোতে আমাদের গণনা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও এবারের জনশুমারি ও গৃহ গণনায় কোন প্রশ্নের সুযোগ থাকবে না। বিস্তারিত
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিবিএস এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৫-২১ জুন ২০২২ তারিখকে শুমারি সপ্তাহ হিসেবে এবং ১৪ জুন তারিখ দিবাগত রাত ১২টা শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট বা শূন্য মুহূর্ত ধরে গণনা শুরু হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এই সময়ে স্থানীয়ভাবে সাময়িকভাবে নিযুক্ত তথ্যসংগ্রহকারীরা প্রত্যেক গৃহ, খানা ও ব্যক্তির তথ্য ট্যাবলেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লি. এর টায়ার ফোর সিকিউরিটি সমৃদ্ধ ডেটা-সেন্টার ব্যবহার করা হবে। সংগৃহীত তথ্য এনক্রিপটেড হওয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতি ১০ বছর পরপর জনসংখ্যার সঠিক হিসাব পেতে এ ধরনের শুমারি করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৫ লাখ। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে দেশে আদমশুমারি বা জনশুমারি করার লক্ষ্য থাকলেও করোনা পরিস্থিতি ও ট্যাব কেনা জটিলতায় বারবার পিছিয়ে যায়। বিস্তারিত
এবারের ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ১৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
আমরা জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি আশা করি সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি গ্রহণযোগ্য পরিসংখ্যান জাতির সামনে পেশ করতে সক্ষম হবেন। যাতে দেশের ধনী ও গরিব, দোষী ও নির্দোষ নাগরিকদের এক নজরে দেখা সম্ভব হবে। নিশ্চিত হবে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।