নিউজস্বাধীন বাংলা: আলোচিত ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার গ্রেফতারে সন্তুষ্ট মানুষ। তবে, নারায়ণগঞ্জে ওই সম্রাটের মতো আরও যেসমস্ত সম্রাট রয়েছে, তাদের ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়ার দাবি তুলেছেন সাধারণ জনগণ।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা প্রথম সারির অনেকে নেতাই নিজেদের স্বার্থে অনেককে ব্যবহার করে রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন। তাদের পাশাপাশি কিছু বিতর্কিত নেতারাও টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুতা করে অঢেল অর্থ বিত্তের মালিক বনেছেন। কারো কারো বিরুদ্ধে তো মাদক ব্যবসা করা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় প্রায়।
জানা গেছে, অত্যন্ত দুর্ধর্ষ মীর হোসেন মীরু। পক্ষাঘাতপুষ্ট এই মীরু নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই মীরু ফতুল্লা মডেল থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের ১০ নম্বরে। এছাড়াও ফতুল্লাতে বেশ কিছু দলীয় সম্রাট আছে যারা একসময় অন্যের জমি দখল করে ভুমিদস্যুতা করে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন। এসপি হারুনের ষারাসি অভিযানের পর এরা এখন মাথায় টুপি লাগিয়ে ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কবে ব্যবস্থা নিবে?
অন্যদিকে যুবদল থেকে আসা মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু। তিনি নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন যুবলীগ নেতা হিসেবে। প্রভাবশালী একটি পরিবারের ছত্রচ্ছায়াতেই বেড়ে উঠেছে চুন্নুর বেপরোয়া জীবন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকসহ কম পক্ষে মামলা রয়েছে ১৯টি।
ওই একই ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও। তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারের অভিযোগ। পাশাপাশি দখলদারিত্বের অভিযোগও পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে দুজন কাউন্সিলর ইতোমধ্যে জেলও খেটেছেন। এদের শেল্টারে রয়েছে সুসজ্জিত বাহিনী। যারা দলীয় নাম ব্যবহার করে সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ায়।
এর বাইরেও এই জেলাতে দলীয় নাম ব্যবহার করে আরও বেশ কিছু ব্যক্তি আছে যারা ভূমিদস্যুতা থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। রাতারাতি এরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন। এই শুদ্ধি অভিযানে এরা সবাই রয়েছে অধরা। তাই নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে সেখানে অনেকেই আটক হচ্ছে। সর্বশেষ ইসমাইল হোসেন সম্রাটও আটক হয়েছেন। তাই প্রশ্ন তুলেছেন এই জেলাবাসী, ঢাকার ওই স¤্রাটের মতো নারায়ণগঞ্জে আরও যেসব সম্রাট রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?