নিউজ স্বাধীন বাংলা : আবু তালেব (১২) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহসহ মাদরাসার প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ছাত্রের মরদেহ নিয়ে খানপুর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা তাকে আটক করে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাড়ে সাতটার দিকে শহরের খানপুরে ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ছাত্র আবু তালেব রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী গন্ধবপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকার সুলতানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলো। আটক মাওলানা নোমান একই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর আবু তালেব নামে ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে নোমান নামে একজন হুজুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীর মরদেহ নিয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে কৌশলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতালে অবস্থানরত অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জেরা করতে শুরু করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অমিত রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গেছে। তবে, কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারছি না।
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা নোমান বলেন, আছর নামাজের পর আবু তালেব বাথরুমে গিয়ে আর বের হয়নি। পরে অন্যান্য ছাত্ররা বিষয়টি আমাকে জানালে দরজা ভেঙে দেখি বাথরুমের ভেন্টিলেটারের সাথে গামছা প্যাঁচানো সে অচেতন ঝুলে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এর বেশি কিছু জানি না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) ডিআইও-টু সাজ্জাদ রোমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্স গেছে। পুরো বিষয়টা জেনে পরে জানানো হবে।