নিউজস্বাধীন বাংলা: জাতীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন,একটি ষড়যন্ত্র সারাদেশে চলছে নারায়ণগঞ্জ বিছিন্ন নয়। স্থানীয় ও জাতীয় চক্র এই ষড়যন্ত্রে জড়িত আছে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি সবাই একটি পরিবার। সবার রক্ত এক আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। খেলা শুরু হয়েছে খেলা চলবে। যারা খেলছে তাদের নাম প্রকাশ করলে অনেকে বাড়ি বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা। জনগনের শক্তির সামনে কোন শক্তি টিকেনা।
শামীম ওসমান আরো বলেন,নারায়ণগঞ্জ নিয়ে কাউকে খেলতে দেয়া যাবেনা।নির্বাচনের পর সব জায়গায় যেতে পারিনি ষড়যন্ত্রের কারনে। আমি নেতা হতে পারবোনা আমরা একজন আরেক জনের জন্য ঝাপিয়ে পড়বো।
২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন,আমি সেদিন দেশে ফিরে আসি। সেনাবাহিনী আমাকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল। আপনারা কন কনে শীতের মধ্যে ১৭ দিন আমার বাড়ি পাহারা দিয়েছিলেন। আপনারা আমাকে বাচিঁয়ে ছিলেন।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় পঞ্চবটি আকবর কনভেনশন হলে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সভা পরিচালনা করেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজ্বী শওকত আলী।
উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতা বিএম শফিকুর রহমান,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরীন বেগম,সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির,ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন,এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আসাদুজ্জামান,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া,ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক প্রমুখ।
শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন,মোটা অংকের টাকা আসছে নারায়ণগঞ্জে। স্বাধীনতা বিরোধী হতে টাকা আসছে। কারা জামায়াতের সাথে উঠছে – বসছে আমি সব খবর পাই। শেখ হাসিনা আমার পরিবার নিয়ে সংসদে যে কথা বলেছে এর চেয়ে বেশী পাওনা হতে পারেনা।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাষাড়া শহীদ মিনারে একটি জনসভা করার জন্য কর্মীদের অনুমতি চেয়ে বলেন,সেদিনের জনসভায় যোগদান করে প্রমান করে দিবেন যারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে তাদের বুকের পাঠা থরথর করে কাঁপে। তারা যেন বুঝে আওয়ামী লীগ কি জিনিষ। এ সময় নেতা কর্মীরা চিৎকার করে সমর্থন করেন। আমরা সুশৃংখল কর্মী বাহিনী গড়ে তুলেছি ধান্দাবাজ নয়। সেদিনের জনসভায় সর্বশক্তি নিয়োগ করতে কর্মীদের নির্দেশ দেন।
পরে সভার সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মী সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।