বন্দর প্রতিনিধি: সিদিপ এনজিও কর্মী কর্তৃক প্রবাসী স্ত্রী (২৭)কে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় লম্পট হাবিব (২৮)কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় বন্দর শাহীমসজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে প্রবাসী স্ত্রী বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ২(৯)১৯। আটককৃত সিদিপ এনজিও কর্মী লম্পট হাবিব সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বার্মাশীল স্ট্যান্ড এলাকার জয়নাল আবেদীন মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া গৃহবধূর স্বামী গত ১ জিবিকার তাগিদে গত ১ বছর পূর্বে সৌদিআরবে পাড়ি জমায়। সে সুবাধে প্রবাসী স্ত্রী তার ২ মেয়েকে নিয়ে বন্দর শাহীমসজিদ এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসচ্ছে। গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে সিদিপ এনজিও থেকে টাকা উত্তেলন করে প্রবাসে যায়। সে সুবাধে প্রবাসী স্ত্রী সাথে সিদিপ এনজিও মাঠকর্মী লম্পট হাবিবের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ে সূত্র ধরে লম্পট হাবিব প্রায় সময় প্রবাসী স্ত্রী বাসায় যাতায়েত করত। এক পর্যায়ে লম্পট হাবিব প্রবাসী স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ২ সন্তানের জননী রাজি না হওয়ায় লম্পট হাবিব ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসী বড় মেয়ে (১৩)কে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার বিকেলে লম্পট হাবিব প্রবাসী স্ত্রী বাড়িতে এসে পুনরায় কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ার লম্পট হাবিব আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। লম্পট হাবিব ধর্ষনে ব্যার্থ হয়ে প্রবাসী স্ত্রীকে পিঠে কামড় মেরে আহত করে। ওই সময় গৃহবধূ চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে লম্পট সিদিপ মাঠকর্মী হাবিবকে গনপিটুনী দিয়ে বন্দর থানা পুলিশে সোর্পদ করে। এ ব্যাপারে প্রবাসী স্ত্রী বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোমবার দুপুরে ওই মামলায় লম্পটকে আদালতে প্রেরণ করে। এবং মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলী প্রবাসী স্ত্রীকে উদ্ধার করে একই দিনে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে।