সোনারগাঁ প্রতিনিধি: সোনারগাঁয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেয়ারটেকার শাহাদাত আমিনকে বদলি করা হয়েছে। ২৭ আগষ্ট তাকে নারায়ণগঞ্জ সদরে বদলি করা হয় এবং ৩ সেপেম্বরের মধ্যে যোগদান করতে আদেশ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জাকির হোসেন।
গত ২৬ আগস্ট চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কেয়ারটেকার শাহাদাত আমিনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ও ইউএনও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন এক নারী। ওই নারী অভিযোগে উল্লেখ করেন, শাহাদাত আমিনের কাছে তিনি একটি কেন্দ্রের জন্য আবেদন করেন। এরপর শাহাদাত আমীন তার কাছে দশ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ২২ আগস্ট তাকে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে ডেকে নেয়। এ সময় তার ভাড়া বাসায় গেলে শাহাদাত তাকে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দেয় এবং স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে তার শারীরিকভাবে নির্যাতনের চেষ্টা করে।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ডি.আর তদন্ত প্রতিবেদনে শাহাদাত আমিনের বাড়ীর স্থায়ী ঠিকানা নারায়নগঞ্জ জেলাধীন নয়। তাই নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা তাকেসহ আরো ৫ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেন। এরপরও শাহাদাত আমিন এখানে রয়েছে। এমনকি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ের অর্থ বিভাগের সাবেক পরিচালক খিদির হায়াতের নাম ভাঙ্গিয়ে ও নারায়নগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানের নীরবতার কারণে অবৈধভাবে তার মডেল কেয়াটেকারের চাকরী করে যাচ্ছে। তার বাড়ী অন্য জেলায় হওয়ায় তার দূর্ণীতি ও মডেল কেয়ারটেকারের নিয়োগটি তদন্ত করে অবৈধ ও সঠিক নয় বলে নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা ভেরিফিকেশন থেকে তার নামের তালিকাসহ আরো ৫ জনকে লিখিতভাবে বাতিল করে দিয়ে ছিল। এ ঘটনায় পূর্বেও তার নামে জামায়াতী সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা ও সোনারগাঁবায়ের সংশ্লিষ্টমহল মনে করছে এধরনের দূর্ণীতিবাজ ব্যক্তির ঠিকানা এই সোনারগাঁয়ে হতে পারে না। সকলেই এই দুঃশ্চরিত্র ও দূর্ণীতিবাজ শাহাদাত আমিনকে অতি শীঘ্র আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোসহ তার বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান।
একই বছরের ৪ঠা এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আইয়ুব হোসেন সোনারগাঁ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা অফিসে এসে দূর্ণীতিবাজ মডেল কেয়ারটেকারখ্যাত শাহাদাত আমিনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ শুনেন এবং ৫ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দী নেন। এই ৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে দূর্ণীতিবাজ মডেল কেয়ারটেকারখ্যাত শাহাদাত আমিন ১০০০০/- ও ২০০০০/- টাকা করে নেন চাকরী পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সেই টাকা পরবর্তীতে আত্মসাৎ করে এমনকি ফেরত না দিয়ে ভূক্তভোগীদের হুমকী দিয়েছিলেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। ইফা’র প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আইয়ুব হোসেন দূর্ণীতিবাজ মডেল কেয়ারটেকারখ্যাত শাহাদাত আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখতে পান যে, উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় তার নিজের কোন বাড়ী নেই, সে একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। এমনকি ইফা’র প্রধান কার্যালয়ের নিয়মে আছে, ফাউন্ডেশনে নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ২কিঃমিঃ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অথচ দূর্ণীতিবাজ মডেল কেয়ারটেকারখ্যাত শাহাদাত আমিন কাঁচপুর থেকে ১৩ কিঃ মিঃ দূরত্বে সোনারগাঁয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যা নিয়ম ও নীতিবহির্ভূত।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, শাহাদাত আমিনকে ধরতে পুলিশি অভিযান চালানো হবে।