স্টাফ রিপোর্টার
বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেও খুনিরা ক্ষ্যান্ত হয়নি,তারা ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আরো একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা করেছিল। সেদিন মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন কিন্তু আইভী রহমানসহ ২২জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ওদের ষড়যন্ত্র এখনো থামেনি। বঙ্গবন্ধু’র ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তবে এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে অবশিষ্ট খুনিরা,তাদেরকে বিদেশ থেকে দেশে আনার পক্রিয়া চলছে। বাকী খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হলে জাতি কলংকমুক্ত হবে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি। তাঁর সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস জড়িত। বাংলাদেশকে ভালোবাসতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে, কারাগারে রোজনামাচা বইটি পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু একদিনে নেতা হয়ে যাননি। তাকে জেলে ভেতরে জীবনের অধিকাংশ সময় পার করতে হয়েছে। জেলের ভেতরে থেকেও তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। আমাদেরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি,সর্বকালের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিএম বজলর রহমান তুহিনের সঞ্চালনায় শনিবার (২৪ আগষ্ট ২০১৯ইং) বিকেলে নগরীর পুরানকোর্টস্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঢাকা মহানগরের সাধারন সম্পাদক এড.মুহাম্মদ দিদার আলী,কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মতিন ভুইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা’র ডেপুটি রেজিষ্ট্রার ডা.শেখ আব্দল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান লাল্টু, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা’র সভাপতি শ্রী চন্দন শীল,বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন,ডা.আতিকুজ্জামান সোহেল, বিশ্বনাথ বিশ্বাস, ব্যাংক ফেডারেশন নেতা আব্দুল কাদির, জেলা যুবলীগের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান তুহিন,,এড.মোঃরিয়াজুর রহমান প্রমুখ। অতিথিদের বক্তব্য পর্ব শেষ হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা এবং তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়