নিউজস্বাধীন বাংলা :এবার সৌদি আরবে গৃহকর্তার নির্যাতনে শাহানাজ নামের এক নারী লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর ৫০ দিন বাদে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে শাহনাজের মরদেহ এসে পৌঁছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
নিহত শাহনাজ বন্দর থানার চুনাবুড়া গ্রামের আছির উদ্দিনের স্ত্রী। গ্রামের দালালের খপ্পরে পড়ে এজেন্সির মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় আট মাস পূর্বে সে সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিলেন।
বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের উপসহকারি পরিচালক (ডিএডি) আনিসুজ্জামান জানিয়েছেন, শাহনাজের মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের পক্ষ থেকে দাফন খরচ বাবদ তাদের ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আর মৃত্যু বাবদ ক্ষতিপ‚রণের টাকা পরবর্তী সময়ে দেওয়া হবে।
শাহনাজের পরিবারের জানায়, গৃহকর্তা গত জুনের ৩০ তারিখে জানান, স্ট্রোকে মারা গেছে শাহনাজ। সেখানেই লাশ দাফন করে দিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরিবারের দাবির মুখে ৫০ দিন পর লাশ পাঠাতে বাধ্য হন ওই গৃহকর্তা।
তাদের অভিযোগ, আট মাস সৌদিতে গেলেও মাত্র তিন মাসের বেতন দেওয়া হয়েছিলো শাহনাজকে। সে অসুস্থ হলেও তাকে কোনো প্রকার চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। সৌদিতে যাওয়ার পর শাহনাজ আট মাসে মাত্র সাতবার দেশে ফোন করেন। কিন্তু যেই নম্বর থেকে সে ফোন করেছিলো সেই নম্বরে আবার যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যেতো না।
তারা জানান, সৌদি আরবে শাহনাজের নিয়োগকর্তার পরিবারের দাবি, শাহ্নাজ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন নির্যাতনেই শাহনাজের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
নিহতের ছেলে সজীব জানান, তার মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় গত রমজানের ঈদের আগে। তখন বলেছিলেন তিনি খুব অসুস্থ। সৌদি আরবের ওষুধ তার শরীরে কাজ করছিল না। তাই তাকে যেন প্রেসারের ওষুধ পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, মালিকরা মায়রে আরও একটা বাসায় কাজ করাইত। সেইটা মায় কইছিল। তার প্রেসারও বাড়ছিল। হের লাইগা ওষুধ চাইছিল কিন্তু পাঠাইবার পারলাম না।