এম ডি অনিকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে শোভা আক্তার(২৫) নামের এক নৃত্য শিল্পীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।শোভা আক্তার বন্দর থানাধিন লক্ষণখোলা এলাকার নুর হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শোভা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে শোভা আক্তার উল্লেখ করেন, বিবাদী ১.মাহমুদুল হাসান হিমেল(২৩),পিতা মৃত আব্দুলাহ,সাং সুচারগাঁও,সোনারগাঁও,নারায়ণগঞ্জ। ২ নং বিবাদী একই উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকার মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে শফিকুল ইসলাম রনি(২৪),৩ নং বিবাদী একই উপজেলার ইলিয়াছদি গ্রামের মোঃ হাসান মিয়ার ছেলে মোঃ সজিব(২০), ৪নং বিবাদী একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃসানজিদ(২০) ৫ নং বিবাদী পাশ্ববর্তী বন্দর উপজেলার পিছকামতাল এলাকার মজিবুরের ছেলে সিয়াম(২২)। আমি একজন নৃত্য শিল্পি আমি বিভিন্ন এলাকায় নানা অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করি।সেই সুবাদে উপরোক্ত বিবাদীরা আমার সাথে একাটি কোম্পানীর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ৬হাজার টাকা নির্ধারণ করে আমার শাশুড়ীর কাছে ১হাজার টাকা বায়না দিয়ে আসে।পরবর্তীতে ১৯ তারিখ সকাল ০৬টায় বিবাদীরা আমাকে এবং আমার সাথের দুজন নৃত্যশিল্পি মামুন ও আশামনিকে অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করার জন্য নিয়ে আসে।পরবর্তীতে আমার সাথের দুজনকে মেকাপ করার কথা বলে আলাদা রেখে আমাকে অনুষ্ঠানের স্ট্যাজে না নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দরিকান্দী এলাকায় অবস্থিত কনকর্ড কোম্পানীর পরিত্যাক্ত কাশবনে নিয়ে জোরপূর্বক উপরোক্ত ৫জন বিবাদীরা মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।পরবর্তিতে মারতœক আহত অবস্থায় শোভা আক্তার সহযোগী নৃত্যশিল্প মামুনের সহযোগিতায় নিজ বাড়িতে যায়।
পরবর্তীতে শোভা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সোনারগাঁও থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন,ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমাদের নারায়ণগঞ্জ-খ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম স্যার এবং থানা পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং রাতে অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হাসান হিমেল,মোঃসজিব এবং সফিকুল ইসলাম রনিকে আটক করা হয়েছে।প্রাথথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।বাকি আরও ২ আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।