নিউজস্বাধীন বাংলা: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সমাজ বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড করায় একটি পরিবারের ৬ সদস্যকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমআর নামাজ শেষে কোতালেরবাগ ও সস্তাপুর নামে দুটি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ মসজিদ, ঈদগাহ ও কবরস্থান কমিটির নেতৃবৃন্দরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে বিভিন্ন দেয়ালে নোটিশ সাটিয়ে দেয়।
সমাজচ্যুতরা হলেন, পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার জব্বার সরদারের ছেলে আ. খালেক, আহম্মদ উল্লাহ, আহছান উল্লাহ, আ. সোবহান, এমদাদ, তাদের ভাতিজা আ. রহিম।
সস্তাপুর ঈদগাহ মাঠ বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক রিপন প্রধান জানান, আ. খালেক ও তার ভাই ভাতিজারা সস্তাপুর ঈদগাহ মাঠের ওয়াকফাকৃত জমি বেদখল করে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। দুটি গ্রামবাসীর এ ঈদগাহ মাঠের জমি কেনো বেদখল করে ঘর বাড়ি তুলেছে তা জানতে বারবার তাগিদ দিলেও তারা কোন জবাব দেয়নি। উল্টো ঈদগাহে তাদের জমি দাবী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এলাকাবাসীকে ফুঁসে তুলেছে।
তারা আরও জানান, আ. খালেক ও তার ভাই ভাতিজাদের জমির দলিলপত্র নিয়ে হাজির হয়ে জমি দাবী করার অনুরোধ জানানো হয়েছে একাধীকবার। কিন্তু তারা সমাজের কারো কথাই না মেনে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালায় এবং ঈদগাহ মাঠের জমি মাপতেও বাধা দেয়। এছাড়া তাদের দায়ের করা মামলাও মিথ্যা প্রমান করতে সখ্যম হয়েছি। তারপরও তারা সমাজের শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘœ সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসী মূলক আচরণ করছে।
সমাজের লোকজনরা তাদের এমন কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের গুলি করে হত্যা করা সহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এবিষয়ে সমাজের পক্ষ থেকে বার বার তাদের শান্ত থাকার ও ঈদগাহ মাঠের জমি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা সমাজের কাউকে কোন তোয়াক্কা করছেনা। এতে সস্তাপুর ঈদগাহ মাঠ, কোতালেরবাগ-সস্তাপুর কবরস্থান ও সস্তাপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদের পৃথক দুটি কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুটি সভা করে তাদের সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এরমধ্যে ১৫ জুলাই সাধারণ সভায় আঃ খালেককে কবরস্থান কমিটির সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয় এবং ৫ আগষ্ট ঈদগাহ মাঠ ও মসজিদ কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এরপরও তারা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড করে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ করায় তাদেরকে সমাজচ্যুত করতে সমাজ বাধ্য হয়েছে।
সস্তাপুর ঈদগাহ মাঠ বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক রিপন প্রধান স্বাক্ষরিত নোটিশের শেষের অংশে উল্লেখ করা হয়, সমাজচ্যুত ব্যক্তিদের সঙ্গে এখন থেকে সমাজের নিয়ম মোতাবেক সর্ব প্রকার সম্পর্ক, যোগাযোগ, লেনদেন, আত্মীয়তা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, দাওয়াত ইত্যাদি হতে বিরত থাকার জন্য সমাজবাসীকে অনুরোধ করা হলো।