নিউজস্বাধীন বাংলা: ৭ খুনের ফাঁসির দÐপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের ক্যাডার রাজুকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাই। তিনি জানান, চাঁদবাজির মামলায় রাজুকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দারোগা ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
জানা যায়, নূর হোসেন জেলে যাওয়ার পর তার ভাতিজা কাউন্সিলর বাদলের শেল্টারে দুর্ধর্ষ রাজু চাঁদবাজি, বাসডাকাতি, মাদকব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাÐ চালিয়ে আসছিলো।
পুলিশ জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইব্রাহিম পাটোয়ারি মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে থানার কান্দাপাড়া এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাতি ছাড়া চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ৩টি মামলাসহ একধিক জিডি রয়েছে। এছাড়া স¤প্রতি সিদ্ধিরগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা গ্রেফতার হওয়ার পর যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতির ম‚লহোতা হিসেবে রাজুর নাম প্রকাশ করে।
একটি সূত্র জানায়, এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ একধিকবার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু তার অবস্থান পরিবর্তন করতো। অনেক সময় সে সাইবোর্ড সানারপাড়া ও আশপাশের এলাকায় আত্মগোপন করে থাকতো। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার স্বম‚র্তিতে আবির্ভূত হয়ে রাজু চালিয়ে যেতো তার অপকর্ম।
স্থানীয় একধিক স‚ত্র জানায়, রাজু যাত্রাবাড়ি থেকে মেঘনা পর্যন্ত যাত্রবাহী বাসে ডাকাতি এবং লিংক রোড ও আদমজী রোডে ছিনতাই করে থাকে। এজন্য তার রয়েছে একাধিক বাহিনী। এছাড়া পরিবহন থেকে ভুয়া ¯িøপ দিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে।
স‚ত্র জানায়, রাজু ছিনতাই বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারে করে রাতের বেলায় মহড়া দেয় এবং সড়কে চলাচলরত দূরপাল্লার যাত্রীদের টার্গেট করে সুযোগে বুঝে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। পরে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
এছাড়া তার রয়েছে মহিলা ছিনতাইকারী ও বø্যাকমেইলিং বাহিনী। এরা বিভিন্ন ফ্ল্যাটে গিয়ে নারী দিয়ে অনেককে বø্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহনে ভুয়া রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজি করে থাকে।