নিউজস্বাধীন বাংলা:শীলতলক্ষ্যা নদীতে চাঁদাবাজিকালে ৮ চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করেছে র্যাব-১১ এর একটি দল। ৪ আগস্ট বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার সুলতানা কামাল ব্রিজের নীচে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলো, মো. মেহেদী হাসান(২৫), মো, আলমগীর হোসেন (৩১), মো. আনোয়ার হোসেন (২৪), মো. মোমিন (৪০), মো. আকতার হোসেন (২০), মো. কাওসার হোসেন (২৯), মো. রানা মিয়া (২৩) ও মো. জহিরুল ইসলাম(১৯)। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ২টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করেছে র্যাব।
র্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বার্তায় জানান, নদীতে চলাচলরত প্রত্যেক নৌযান হতে শুল্ক আদায়ের নামে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫শ থেকে ৩ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা তারা স্বীকার করেন।
বার্তায় আরও জানানো হয়, ডেমরা এলাকার কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন বিআইউবিøউটিএ থেকে তারাবো ব্রিজ হতে কাঞ্চন শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরে মালামাল লোড-আনলোডের শুল্ক আদায়ের ইজারা নিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ি বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক নির্মিত ঘাট বা প্লাটুন ব্যবহার করে কোনো মালামাল লোড-আনলোডের জন্য ইজারাদার নির্ধারিত হারে শুল্ক আদায় করার কথা এবং নদীতে চলাচলরত নৌযান থেকে শুল্ক বা চাঁদা আদায় সম্পূর্ন বেআইনী। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র ইজারার নামে নদীতে চলাচলরত প্রত্যেক নৌযান থেকে দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে।
তিনি আরও জানান, শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত অধিকাংশ নৌযানের গন্তব্য থাকে নরসিংদী, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। ওই নৌযানগুলো ইজাদারের আওতাধীন এলাকা অর্থাৎ তারাবো ব্রিজ থেকে কাঞ্চন ব্রিজ এলাকার মাঝামাঝি কোথাও থামে না। তারপরও উক্ত চাঁদাবাজ চক্র তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে নদীতে চলাচলরত অবস্থায় চাঁদা আদায় করে। এমনকি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নৌযান শ্রমিকদের মারধর করে থাকে ওই চাঁদাবাজ চক্র।