নিউজস্বাধীন বাংলা:শহরের রফিকুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের একদিন পর রোববার (৪ আগস্ট) সকালে তার মরদেহ সদর থানার ডিক্রিরচর ধলেশ্বরী নদীর অংশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিকুল ইসলাম শহরের পাইকপাড়া নয়াপাড়া এলাকার শাহ নেওয়াজ সেন্টুর ছেলে। শনিবার সকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিলো।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি রফিকুলকে হত্যা করে নদীতে তার মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।
পুলিশ সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম হৃদয় সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পছন্দ করতো। এই মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষণ করে বাড়িতে জানালে তার পরিবার এতে অসম্মতি জানালে শনিবার সে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, হৃদয় যে মেয়েকে পছন্দ করতো তার পরিবারের শনিবার লোকজন তাকে মারধর করে। এ ঘটনাটি সে স্থানীয় কাউন্সিলরকেও জানায়। তারাই হৃদয়কে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দিয়েছে। তবে, হত্যার কথা তারা বললেও এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা কিংবা অন্য কোন অভিযোগে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।