নিউজ স্বাধীন বাংলা : প্রতিটি সম্মেলনে মেয়র আইভীকে উপস্থিত থাকার আহŸান জানিয়ে সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু বলেছেন, নেতার খাতায় নাম লেখবেন সে নাম ধুয়ে কেউ পানি খাবে না। কার কি যোগ্যত্যা আছে, কার কি মূল্য আছে, কার কি সম্মান আছে, এটা মেপে মেপে কিন্তু সম্মেলনে যেতে হবে। কার অতীত কি সেটা কিন্তু সবাই জানে। সুতরাং কোনো অনুপ্রবেশকারীরা সম্মেলনে যায় আর কোনো ঘটনা যদি ঘটে সে দায়িত্ব কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নিবে না।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নগরীর দুই নং রেল গেট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্যকালে ওই কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, এই ঘরোয়া বৈঠকে অনেক কথা বলা যাবে। অনেক বড় বক্তৃতা দেওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আজকের আওয়ামী লীগ। রক্ত দিয়ে এই আওয়ামী লীগ তৈরি হয়েছে। সম্মেলন মানে এ নয় সবাই সব জায়গাতে গিয়ে মাতবরি করতে পারবে। অবকাঠামো আছে। সে মোতাবেক কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে আমরা চালিত হবো। কোনো ব্যক্তির নির্দেশে চালিত হবো না। সাংগঠনিক যে নিয়ম আছে সে মোতাবেকই সম্মেলন হবে। ওয়ার্ড করার দায়িত্ব যার সে করবে, ইউনিয়ন করার দায়িত্ব যার তিনি করবেন। থানা সম্মেলন করার দায়িত্ব যার সে করবে সাংগঠনিক নিয়মে। এখানে মাতব্বরি করার আপনি কেডা? মন প্রাণ দিয়েই সংগঠন করি। সুতরাং সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করে একটা ইতিহাস করে দিবেন।
বাবু বলেন, আমরা যারা গুলি খেয়েছি, গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে আওয়ামী লীগ করেছি আর সেসময় অনেকেই চুরি বাটপারি আর বিএনপির এজেন্টের ভূমিকায় ছিলো আজ তারা এসে কোরামে কথা বলবে, মাতবরি করবে, সেটি তো হবে না। এভাবেতো আওয়ামী লীগ চলবে না। দলে নাম লেখাইলেই নেতা না। কর্মীদের মাঝে থাকতে হবে। ভিপি বাদল জীবন বাজি রেখে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আজ সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। আরেকজন কি করেছেন, সে খবরও রাখতে হবে?
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে বর্ধিত এই সভার সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বীরু প্রমূখ।