নিউজ স্বাধীন বাংলা : ‘গালির প্রতিবাদ’ করায় অন্তর চন্দ্র দাস নামের এক হেলপারকে মারধর করেছে চালক। আর এই মারধরে গুরুতর অসুস্থ হেলপারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের মা শেফালী রানি দাস। তার অভিযোগ, চালক ওমর ফারুকই তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ছেলের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে আহাজারি করছিলেন তিনি। তার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন তার মেয়েও। তারা অন্তরের মৃত্যুর জন্য ওমর ফারুককেই অভিযুক্ত করেন এবং শাস্তি দাবি করেন।
নিহত অন্তর চন্দ্র দাস নরসিংদীর মৃত নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে। সে তার মা শেফালী রানী দাসের সাথে বন্দরের মালেক মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিলো।
৯ জুলাই মারধরের ঘটনাটি ঘটে ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকায়। অন্তর চন্দ্র দাস একটি কভার্ডভ্যানের হেলপার। তার চালক ছিলেন ওমর ফারুক। ঘটনার দিন চালক অন্তরকে গাড়ি ধুতে বললে তার জ্বর জানিয়ে কাজটি করতে পারবে না বলাতে চালক গালাগাল শুরু করলে এর প্রতিবাদ করে অন্তর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চালক ওমর ফারুক। বেধরক মারধর শুরু করে হেলপারকে। এতে নিতাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিস্তারিত জানতে ওসি তদন্তের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
এদিকে ফতুল্লা মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান জানান, “ঘটনাটি মঙ্গলবার ঘটেছে। শনিবার দুপুরে খবর পেয়ে চালক ওমর ফারুককে সাইনবোর্ড থেকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ দায়েরের জন্য আসছে। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।”
নিহতের মা শেফালী রানী দাস আহাজারি করতে করতে জানাচ্ছিলেন, তার ছেলে অন্তর চন্দ্র দাস মোজাম্মেলের মালিকানাধিন একটি কভার্ডভ্যানে হেলপারি করতেন। এই গাড়ির চালক ওমর ফারুক। গাড়ি ধুয়ে না দেওয়াতে গালগাল শুরু করে চালক। এর প্রতিবাদ করায় ওমর ফারুক পিটিয়েছে। ফারুকের পিটুনেতেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চালকের শাস্তি দাবি করেন।