নিউজ স্বাধীন বাংলা : নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে মুন্সিগঞ্জ স্বল্প সময়ে যাতায়তের সহজ একটি রাস্তার সামান্য কিছু অংশ প্রায় অর্ধযুগ ধরে সর্বসাধারনের কাছে বিষফোঁড়া হয়ে থাকলেও তা সংস্কারের দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউই। ফলে এ পথ দিয়ে যাতায়ত কারিদের দূর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
যে সড়কটির কথা বলা হচ্ছে সেটি নারায়ণগঞ্জ শহরের বাপ্পি চত্বর থেকে কাশিপুর হাটখোলা পর্যন্ত মাত্র এক কিলো মিটারের রাস্তা। এর সিংহভাগ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভূক্ত আর সামান্য কিছু অংশ সদর উপজেলাধিন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের। ইউনিয়ন পরিষদের ওই সামন্য অংশটুকুই বিগত ৬ বছর ধরে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দে ভরা ওই অংশটুকু। শুষ্ক মৌসূমে ধূলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানিতে একাকার। এমন বেহাল অবস্থার কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বার বার স্থনীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দেওয়া হলেও সংস্কার করা হয়নি সড়কের এই অংশ। মো. মনির হোসেন নামের এক যুবক বলেন, আমার বাসস্থান মুক্তারপুর এলাকায়। নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কলেজে যাতায়ত করতে হয়। কিন্তু দুইদিন রিক্সা উল্টে পড়ে গিয়ে মারাত্মক ব্যথা পেয়েছিলাম। এছাড়া পরনের জামাকাপড় কাঁদা মাটিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই দুইদিন কলেজে না গিয়ে বাসায় ফিরে যেতে হয়েছে।
হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার জানায়, স্কুলে যাতায়তের সময় প্রায়শই যানবহনের চাকা থেকে কাঁদাপানি ছিটকে এসে ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে যায়।
সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের নলুয়া পাড়ায় আমার বসবাস। মুন্সিগঞ্জ শহরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় মটর সাইকেলযোগে প্রতিদিন এ পথ দিয়ে যাতায়ত করেতে হয়। কিন্তু খানা খন্দে ভরা ওই অংশটুকু পার হবার সময় আতঙ্কে থাকি। কারন মাত্র ক’দিন আগে মটর সাইকেল উল্টে পড়ে গিয়েছিলাম।
সড়কের পাশে থাকা চা দোকানদার বিল্লাল হোসেন বলেন, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জগামী যানবাহনের যাত্রীরা নারায়ণগঞ্জ শহর হয়ে মুন্সিগঞ্জে প্রবেশ করেন। নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জে চলাচলকারি সিএনজিচালিত অটো রিক্সা ও লেগুনাগুলো এই সড়ক ব্যবহার করে। ফলে সা¤প্রতিক সময়ে সড়কটির গুরুত্ব বাড়লেও এখন এটি আমাদের জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। খোদার ৩০ দিনই দুর্ঘটনা ঘটে এখানে। অথচ ভাঙ্গা অংশটুকু ৫’শ গজের বেশী হবেনা। জানতে চাইলে ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন বলেন, কবে নাগাদ সংস্কার করা সম্ভব হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে এটা নিশ্চিত বাজেট আসলে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।