কাতারে সর্ববৃহৎ লেমুজিন কোম্পানিসহ ১৪টি কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জনাব আলমগীর হেসেন মো. আলী প্রবাসীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে সরাসরি যেসব দাবি উত্থাপন করেন তার প্রথমটি:
“এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের যেন আর হয়রানি না করা হয়”
প্রবাসীরা যেন দেশে প্রবেশ বা বহির্গমনের সময় যথাযথ সম্মান এবং সহানুভূতির সঙ্গে সেবা পায়। বিশেষ করে যারা পরিবারসহ ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন সার্ভিস চালু করার দাবিও তুলে ধরেন, যেন তাঁরা সহজে, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে দেশে ঢুকতে ও বের হতে পারেন।
দ্বিতীয়টি “বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে রেট বৈষম্য দূর করা হোক”
যেখানে অন্যান্য দেশ থেকে ৬-৬.৫ রিয়ালে কার্গো আসে, সেখানে বাংলাদেশ থেকে আনলে সেটা হয় ১০ রিয়াল বা তার বেশি। এই বৈষম্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এ সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন যাতে আমরা দেশের রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে আরও অবদান রাখতে পারি।
ড. ইউনুস স্যারের প্রতিক্রিয়া ছিল হৃদয়গ্রাহী ও আশাব্যঞ্জক।
তিনি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনেন এবং প্রতিটি পয়েন্টে যুক্তিপূর্ণ, মানবিক এবং ভবিষ্যতমুখী উত্তর প্রদান করেন। তাঁর কথাবার্তায় ছিল নেতৃত্বের দীপ্তি, হৃদয়ের মাধুর্য ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার স্পষ্ট প্রতিফলন।
উনি আশ্বাস দেন, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে বের করা হবে, এবং তিনি নিজ উদ্যোগে প্রবাসীদের কথা উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরবেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি আমাদের প্রবাসীদের মাঝে আশার আলো জ্বালিয়েছে। উপস্থিত সকল প্রবাসী নেতৃবৃন্দ উনার কথা শুনে ছিলেন আনন্দিত, অনুপ্রাণিত এবং আস্থাশীল।
ড. ইউনুস স্যারের মতো একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যখন প্রবাসীদের কষ্ট ও সম্ভাবনার কথায় মনোযোগ দেন—তখন প্রবাসীরা নিজেকে অবহেলিত নয়, বরং দেশের শক্তি হিসেবে সম্মানিত বোধ করি।
আমরা ড. ইউনুস স্যার ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে অন্তরের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই—এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ও সুযোগের জন্য। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি—উনি যেন দীর্ঘজীবী হন, সুস্থ থাকুন এবং দেশ-বিদেশে মানবতার জন্য কাজ করে যান।
প্রবাসী কমিউনিটির পক্ষ থেকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ ও সালাম—ড. ইউনুস স্যাররে প্রতি।
তাদের মতো আলোকিত মানুষদের পাশে থেকে আমরা ইনশাআল্লাহ প্রবাসীদের উন্নয়নে এবং দেশের অগ্রগতিতে কাজ করে যাবো।
মো:আলী।