১০ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কালেরকন্ঠের এই শিরোনামের বিপরীতে বিবিসিবাংলাসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর সংগ্রহে উঠে আসছে বেহাল চিকিৎসা খাত: নামেই শুধু সেবা, কাজে বাণিজ্যের ভয়াবহ সংবাদচিত্র।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের স্বাস্থ্য খাতে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি সেবার মান। ফলে বছরে হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা নিতে পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে। বিস্তারিত জনকন্ঠে
দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় ভরসা নেই জনগণের। দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থাহীনতা, দীর্ঘসূত্রতা আর ভোগান্তির কারণে বিদেশমুখিতা বাড়ছে দিন দিন। অন্যদিকে, কম টাকা খরচ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে সুচিকিৎসাও মিলছে। যদিও জটিল রোগ ছাড়া থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারতে চিকিৎসা নিতে গেলে আনুমানিক ১ লাখ খরচ হয়। তবে ভারতে ট্রেন বা বাসে গেলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ পড়ে। বিস্তারিত সমকালে
ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদেশীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে দেশটি যে ৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার আয় করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশী রোগীদের কাছ থেকেই আয় করেছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে প্রকাশ, গত অর্থবছরে চার লাখ ৬০ হাজার বিদেশী রোগী ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন, যাদের মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার বাংলাদেশী যার মানে চিকিৎসা নেয়া বিদেশীদের প্রতি তিনজনের একজনই ছিলেন বাংলাদেশী। বিস্তারিত নয়াদিগন্তে
১. বিদেশে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা করানো যায়।
২. উচ্চমানের চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যায়। দ্রুত রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা হয়, এবং
৩. চিকিৎসকরা আন্তরিক ব্যবহার করেন। পর্যাপ্ত সময় ও মনোযোগ প্রদান করেন। বিস্তারিত বাংলাট্রিবিউনে
তবে শেষ বিচারে সরকারি হাসপাতালই দরিদ্র মানুষের আশা-ভরসার মূল আশ্রয়। তাই এখানে বরাদ্দ বাড়ানোসহ দরকার লোকবল আর অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন। চিকিত্সাসেবার আধুনিক যেসব উপকরণ অপরিহার্য; কিন্তু ব্যয়বহুল, যেমন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, জরুরি ও আইসিইউ সেবা, কার্ডিয়াক ক্যাথ, সার্জারি, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, জরুরি প্রসূতিসেবা ইত্যাদিকে আরো ভর্তুকি দিয়ে দরিদ্রের জন্য সুলভ করা প্রয়োজন। বিস্তারিত ইত্তেফাকে
(সংগ্রহ চলমান)