গতকাল রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এক ব্রাদার/পুরুষ নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রথমে ৩০৭নং কেবিনে চিকিৎসাধীন মাস্টার্সের এক ছাত্রী হাসপাতালের পিআরওকে ডেকে নিয়ে তার অভিযোগের কথা বলেন। তিনি বলেন অপারেশনের পরে ওটি থেকে এসে তার কেবিনের বেডে শোয়া ছিলেন। পুরোপুরি চেতনা ফিরে আসতে না আসতে ঐ ব্রাদার কেবিনে এসে পাশে থাকা রোগীর মায়ের কাছে জানতে চায় তার প্রস্রাব হয়েছে কিনা। তার মায়ের জবাব শুনতে না শুনতে রোগীর তল পেটে হাত দেয়। তারপর তলপেট থেকে ঘষে ঘষে রোগীর লজ্জাস্থানে হাত নিয়ে একাধিক বার তার আঙ্গুল ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। অস্বস্থিকর অবস্থায় পড়ে রোগী তার মায়ের শরণাপন্ন হয়। বিষয়টি পিআরওর পরামর্শে তাৎক্ষণিক তার চিকিৎসকের কাছে জানিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে রিসিপশনে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ৩০২নং কেবিনে চিকিৎসাধীন ৭ম শ্রেণির আরেক ছাত্রীর মা মুখ খোলেন। তিনি বলেন, অপারেশনের পরে ঐ ব্রাদার এসে তার মাকে জিজ্ঞাসা করেন, মেয়ের ব্লাড ভাঙছে কিনা? তার মায়ের জবাব শুনতে না শুনতে রোগীর পরনের কাপড় তুলে একাধিক বার সে লজ্জাস্থানের দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। তার চোখ কিছুটা লাল হয়ে উঠছিল। আগে কেন জানান নি? এপ্রশ্নের জবাবে রোগীর মা বলেন- বিষয়টি লজ্জা ও ন্যাক্কারজনক হওয়ায় কারো কাছে বলার ছিলনা। এই ব্রাদারের হাতে এভাবে বিভিন্ন বয়সী মেয়ে রোগীরা হেনস্থার শিকার হয়ে আসছে বলে প্রতীয়মান। এতদিন লোক লজ্জায় কেউ মুখ খোলেনি।
অবশ্য গত মাসে এক মধ্য বয়সী মহিলা একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওটিতে নিয়োজিত এক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে গেলে তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মতাকে জানিয়েছেন। কিন্তু এবিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এপর্যন্ত গড়াল।
দেশের প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত পুরুষ নার্স/ ব্রাদারদের গোপন হাতগুলোর দিকে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি।