২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হলেও এসএটিভির সঙ্গে আমার পথচলা শুরু ২০১২ সালের জুন থেকে। ২০১৩ সালের ১৯শে জানুয়ারী বেশ বড় বাজেটের আধুনিক প্রযুক্তি আর দক্ষ টিম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো এসএটিভি। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতেই বিগ বাজেটের রিয়েলিটি শো “বাংলাদেশ আউডল” নিয়ে আসে। প্রত্যাশা ছিলো, এর মাধ্যমে টেলিভিশনটি ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা/ সাফল্য পাবে। কিন্তু উঁচু পদের কিছু কর্মকর্তার উঁচু মানের দুর্নীতির কারণে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় চ্যানেলটি।
কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে একটি চক্র দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের অর্থ। গণমাধ্যমে অনভিজ্ঞ এসএটিভির মালিক বিষয় টা শুরুতে টের না পেলেও বুঝতে বেশিদিন সময় লাগেনি। কিন্তু এই বুঝতে পারাটাও তার এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিষ্ঠানটির এমডি সালাহউদ্দিন আহমেদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা এবং খরচের লাগাম টেনে ধরার খড়গ নেমে আসে কর্মীদের ওপর।
শুরু হয় কর্মীদের বেতন-ভাতা অনিয়মিতকরণ, প্রাপ্য সুযোগ সুবিধার পরিবর্তে উল্টো কর্তনের দ্বারা দক্ষ ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের হারাতে থাকে। যারা টিকে থাকে তাদের ওপর চলতে থাকে এই ধারা। বঞ্চিত করা হয় সব সুযোগ সুবিধা ও অধিকার থেকে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের কাছে তিনি জিম্মি হয়ে থাকেন। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি আরো দুর্বল হতে থাকে। মূলতঃ এজন্য মালিকের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তই দায়ী। তিনি বারবার হেড অব নিউজ পদে পরিবর্তন এবং অযোগ্য চাটুকারদের তাড়িয়ে দিয়ে আবারো ফিরিয়ে আনার মধ্যদিয়ে টেলিভিশনটিকে দুর্বল করেছেন। এর অন্যতম আরেকটি কারণ, এসএটিভিকে কুরিয়ার সার্ভিসের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন এমডি সালাহউদ্দিন আহমেদ । ফলে যা হবার তাই হয়েছে। এর খেসারত যতটা না কর্মীরা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি দিচ্ছে গণমাধ্যমটি।
সবকিছু ছাপিয়ে এক দশক পূর্তিতে এসএটিভির জন্য অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা। জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে এখানে। অনেক স্মৃতি ও বিস্মৃতি জড়িয়ে আছে এসএটিভিকে ঘিরে। তাই কখনো ভুলতে চাইনা, বরং এগারোতম বছরে নতুন উদ্যমে শুরু হোক পথচলা, এই প্রত্যাশা।
শুভ জন্মদিন এসএটিভি।
এসএটিভির জন্মদাতা-
জন্মদাতার স্বপ্ন ও তার বাস্তবায়ণ-