বাড়িতে চোর ঢুকেছে । গাধা ও কুকুর পাশাপাশি বসে আছে । গাধা ভাবছে কুকুর হয়তো চোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে । কিন্তু না! কুকুর চুপচাপ বসে রইল। কুকুরের নিরবতায় গাধার মনে সন্দেহ দেখা দিলো। সে কুকুরের কাছে এসে বললো ভাই একটা কিছু করো। চোর তো গুদাম ঘরের তালা ভাঙা শুরু করে দিয়েছে। গাধার কথায় কুকুর তোয়াক্কা না করে বসেই রইল। হঠাৎ গাধা চেয়ে দেখল কুকুরের সামনে হাড্ডি। হাড্ডির সাথে গোশতও আছে। গাধা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না । এ কি দেখছে সে! বাড়ির একমাত্র পাহারাদার তার প্রিয় কুকুর ভাই কি শেষ পর্যন্ত ঘুস খাওয়া শিখে ফেলেছে ?
তা-ও আবার চোরের মতো বেইমান, নিকৃষ্ট প্রাণির কাছ থেকে!
– ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ!
এদিকে চোরেরা তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। গাধা আর চুপ থাকতে পারল না। সে গগনবিদারী চেঁচামেচি শুরু করে দিলো। তার চিৎকারে বাড়ির মালিকের ঘুম ভেঙে গেল । এদিকে মালিক খুব বিরক্ত হলো। সে ঘর থেকে বের হয়ে দেখল কুকুর নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আর গাধা লাফাচ্ছে।মালিক ভাবল হয়তো গাধাকে জিনে ধরেছে অথবা পাগল হয়ে গেছে। তাই সে রাগান্বিত হয়ে লাঠি দিয়ে গাধার পিঠে বেশ কয়েকটা আঘাত করল । এতে গাধা খুবই ব্যথিত হলো ।
এখন গাধা কোথায় যাবে? মালিকের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে উল্টো মার খেতে হলো । অবশ্য চোর ধরা যার দায়িত্ব ছিল সে ঘুস খেয়ে চুপ থেকেছে আর গাধা অন্যের দায়িত্ব মাথায় নিয়ে অপরাধী বনে গেল ।
অগত্যা গাধা মনে মনে ভাবছে –
দায়িত্বশীলরা নষ্ট হয়ে গেলে করার কিছুই থাকে না। এ সময় কিছু করতে যাওয়া বোকামি বই আর কিছু না ।
গল্পটা এখানেই শেষ কিন্তু আমার ভাবনা এখান থেকেই শুরু । আমরা যারা চোরদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছি তাদের অবস্থাও ঐ গাধার মতো।কথা বলে অপরাধী হচ্ছি আর কুকুররা টোপ গিলছে এবং শত কোটি টাকা নিয়ে চম্পট। সুতরাং চোর ও কুকুরের গলাগলি যতদিন।