ইলন মাস্ক আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ। তিনি স্বপ্ন দেখেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিলেন টুইটার। সে দিন বেশী দূরে হবে না, দেখা যাবে এই টুইটার ৪৪ বিলিয়ন থেকে ৪০০ ট্রিলিয়নে মাস্ক নিয়ে যাবেন। তিনি মূলত ব্যবসায়ী। যদিও তিনি বলেছেন, মুক্ত মত প্রকাশের স্থান করে দিবেন টুইটারকে। বিশ্বের এই ধনী মানুষটি শুধু অর্থেই ধনী না, তার ভাবনাগুলো সময়ের থেকেও এগিয়ে থাকে। ট্যালেন্টেড মানুষ। তিনি হিউম্যানিটিকে ভালোবেসে টুইটারকে মুক্ত মত প্রকাশের স্থান করে দেবেন বলেছেন । আসলে ব্যবসাটা হবে এখানেই। কারণ তিনি এ পথে হাটলে ফেসবুক, লিঙ্কডইন থেকে শুরু করে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া চাপে পড়বে, তখন তারাও ব্যবসার খাতিরে তার পথে আসবে, না হয় তাকে চাপে ফেলতে চাইবে। বিশেষ করে আমেরিকাতে নির্বাচনের সময় দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়ার বিরাট ভূমিকা থাকে প্রচারনার ক্ষেত্রে। এ ক্ষত্রে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অধীনে রাখতে চায় সোশ্যাল মিডিয়া। চলে দৌড় প্রতিযোগিতা। বলা যায় ইলন মাস্ক বড়শির ছিপ ফেলছেন বড় মাছ ধরার জন্য। গত নির্বাচনে ট্রাম্পের মিথ্যা তথ্যের কারণে তার ফেসবুক একাউন্ট কিছু দিনের জন্য স্থগিত করে দিয়েছিল জাকারবার্গ। সামনের নির্বাচনে দেখা যাবে টুইটারকে নিয়ে টানাটানি। এক্ষেত্রে পাল্লা ভারি হবে রিপাবলিকানদের জন্য। কারণ, ধনীদের বেশীর ভাগ রিপাব্লিকান।
আর টুইটার যদি মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্র হয় সেক্ষেত্রে দেখা যাবে সত্যের পাশাপাশি মিথ্যার ও আশ্রয় নিবে অনেকে। অবশ্য এটা সময় বলে দেবে। আমি শুধু আমেরিকার কথা বললাম, বিশ্বের রাজনীতির ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এই টুইটার কতটা প্রভাব ফেলে তা ভবিষ্যৎ সময় বলে দেবে। তবে ইলন মাস্ক বুদ্ধিমান মানুষ। তার কোম্পানীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেসলা, পে-পল (ছিল এখন নাই ), স্পেসএক্স সহ অনেক বড় বড় কেম্পানি। তার মাথায় শুধু আইডিয়া কিলবিল করে। আসলে যারা স্বপ্নবাজ মানুষ তারা যখন কোন স্বপ্ন দেখে সেটা পূরণ না করা পর্যন্ত তাদের শান্তি আসেনা। ইলন মাস্ক হচ্ছে সে ধরনের মানুষ। দেখা যাক, এই টুইটারকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যান।
এম আর ফারজানা
যুক্তরাষ্ট্র থেকে।