প্রতিবাদ আর অপরাধ যেমন আলো আর অন্ধকার। অন্ধকার চতুর্দিক থেকে ঘিরে আসলে আলো তখন ক্ষীণ হয়ে আসে। ঠিক তেমনি অপরাধের অভয়ারণ্যে প্রতিবাদের আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে যায়। ২১শ শতাব্দীর জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকোজ্জ্বল বিশ্বের বাংলাদেশ নামক স্বর্ণতুল্য ভুখন্ডটি আঁধারে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তার প্রমাণ- টাঙ্গাইলের সখীপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খুন।
কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গত শুক্রবার বিকেলে এলাকার বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের সমন্বয়ে এক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা দেখতে আসা এলাকার মেয়েদের নানাভাবে উত্যক্ত করে কালিয়ান দোহানিয়া পাড়ার কয়েকটা ছেলে। এ সময় তাদের উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে ঘটনা স্থলেই হামলার শিকার হন প্রতিবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম (২১)।
মেয়েদের উত্যক্তকারিরা প্রতিবাদের কন্ঠস্বর চিরতরে বন্ধ করে দিতে খেলা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ারুল ইসলাম (১৯), ছাব্বির আহমেদ (১৯) সহ সাত-আট জনের একটি গ্রুপ লোহার রড, দা, দিয়ে মাজহারুলের উপর আক্রমণ করে। এ সময় চিৎকার শুনে তার বাবা ও অন্যান্যরা মাজহারুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার রাত প্রায় ১.১৫ মিনিটে মাজহারুল মারা যায়। তথ্যসূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন
সত্য ও ন্যায়ের মশাল সবাই উচিয়ে ধরেনা। অল্প সংখ্যক সচেতন ব্যক্তির হাতের মশালালোকে নগরের সবাই অমূল্য আলোয় উদ্ভাসিত হয়। ঠিক তার বিপরীতে অপরাধী চক্র প্রতিবাদী কন্ঠস্বর চেপে ধরার সাহস পাওয়া মানে সে সমাজকে অন্ধকারচ্ছন্ন অন্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া।