বিশ্বব্যাপী, আনুমানিক ৭,০৩,০০০ মানুষ প্রতি বছর আত্মহত্যা করে মারা যায় যার মধ্যে ৭৭% মৃত্যু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে ঘটে (WHO 2022)। এই বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ। আত্মহত্যার জন্য হারিয়ে যাওয়া প্রতিটি জীবন পরিবার, সম্প্রদায় এবং জাতির জন্য বিধ্বংসী প্রভাব তৈরি করে।
এই বিষয়টি তুলে ধরতে এবং সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়। – ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (IASP)। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় আইএএসপি।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (IASP) এর সাথে আমরা জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি আমাদের দেশের আত্মহত্যা প্রবণ দূর্বল মনোভাব ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুক্তভোগি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। প্রয়োজন সকলের সহযোগিতার।
সম্প্রতি এক গবেষণার দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
আত্মহত্যা করার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানসিক চাপ। এ ছাড়া যৌতুক, বেকারত্ব, মাদকাসক্তি, হতাশা, অভিভাবকদের উদাসীনতা, পারিবারিক কলহ, প্রেমে ব্যর্থতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, অবসাদ ও হেনস্থার শিকার। বিষণ্নতায় যারা ভোগেন তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা থাকে বেশি।
আত্মহত্যা মানে নিজের কাছে হেরে যাওয়া। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সরকার ও জনগণকে নাগরিকের আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আরো আন্তরিক হতে হবে বলে জানান এনএনসির গবেষণা বিভাগ।