১১ আগষ্ট ২০২২
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের এক বাজারে বৃহস্পতিবার কলিজার টুকরা সন্তানকে ‘বিক্রির জন্য’ বাজারে তুলেছিলেন এক মা! দাম হাঁকিয়েছিলেন ১২ হাজার টাকা। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ নেই। নিজে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। থাকেন বাবার সংসারে। এখানেও অভাব। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এ অবস্থায় সন্তান মানুষ করা কঠিন ভেবে সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্তে বাজারে আসেন মা।
২৯ জুলাই ২০২২
ছয় মাস আগে শাম্মী নামে এক কন্যা শিশু জন্ম নেয় এক হতদরিদ্র পরিবারে। ছয় সদস্যের অভাবের সংসারে ছয় মাস বয়সী শিশুকন্যা শাম্মীকে দত্তক দিতে ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে গেলে এলাকাবাসীর পরামর্শে শিশুটিকে আবারও বাড়ি ফেরত নিয়ে আসেন হতভাগ্য বাবা।
০৫ জুন ২০২২
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অভাবের কারণে সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া নবজাতককে অর্থের বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই নবজাতকের পিতা-মাতা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে দত্তক দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও একই দম্পতি তাদের আরেকটি সন্তানকে এভাবেই হস্তান্তর করেছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২২
ঈদের বাকি মাত্র দুই থেকে তিন দিন। এসময় পরিবার পরিজন এবং সন্তানদের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে নতুন নতুন জামা-কাপড় কিনতে ব্যস্ত বাবা-মায়েরা। আর সেই সময় অভাবের তাড়নায় কোলের ছোট্ট শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছেন মা আয়েশা খাতুন (২২)।
২২ মার্চ ২০২২
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চিকিৎসা খরচ না চালাতে পেরে জোবায়েরা আক্তার মিনা নামের ১৩ মাস বয়সী এক শিশু সন্তানকে এক লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছেন এক দম্পতি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিনার চাচা।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় অভাবের তাড়নায় শিশু সন্তান বিক্রি শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুল করিমের সহায়তায় বিক্রি হওয়া সেই শিশুটির স্থান হলো মায়ের কোলে। পরিবারকে দেয়া হয় আর্থিক সহায়তা।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে নিজের নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন এক মা। সন্তান হারিয়ে এখন পাগল প্রায় ওই মা। ওই নারীর নাম তামান্না বেগম।
২২ জানুয়ারি ২০২২
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দুর্গাকাঠি গ্রামে অভাবে পড়ে ১৮ দিনের মেয়ে শিশুকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন পরিমল ব্যাপারী (৫৫) নামের এক হতদরিদ্রের বাবা। প্রত্যাশা ছিল, মেয়েকে বিক্রি করে দিলে বেশ কিছু নগদ টাকাও পাওয়া যাবে আর মেয়েটাও ভালো থাকবে।
আর পিছনে ফিরে নাই দেখলেন; চলতি বছরের সন্তান বিক্রির খবরগুলো এক নজরে সংগ্রহ বার্তায় দেখে নিতে পারেন।