দেহতুল্য দেশটি কঙ্কালাবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন নাদুসনুদুস। দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প/মেগা প্রজেক্ট সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোও সাফল্যের মুখ দেখেছে। প্রবাস থেকে ফিরে এসে জন্মভূমির দিকে হা করে তাকিয়ে থাকছে। মাত্র কয়েকটা বছরের মধ্যে দেশের রূপ এতোটা পরিবর্তন হয় কিভাবে? শুধু প্রবাসীরাই নয়; বরং বিশ্ববাসি খেই হারিয়ে ফেলছে বাংলাদেশের উল্কার ন্যায় উন্নয়নের গতিশীলতা প্রত্যক্ষ করে। বিশাল বিস্তৃত ভুমন্ডলের বঙ্গোপসাগর কুলের বঙ্গভূমিটুকু সোনার বাংলায় পরিণত করার স্বপ্নদ্রষ্টাদের সাফল্য বিশ্ব ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে আমরাও পারি। পিছিয়ে থাকার জাতি আমরা নই। তলাবিহীন ঝুড়ির তুলনা আর বাংলাদেশকে দিয়ে নয়। শুরু থেকে অদ্যাবধি তোমাদের অবদান হে দেশ গড়ার কারিগর হে দেশ ও জাতি উন্নয়নে উজাড় করা প্রাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার আপনার কাছে আমরা জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি ও সংগ্রহ বার্তা পরিবার প্রাণতুল্য নাগরিকদের মানবিক উন্নয়নের দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
০৭. ০৭. ২০২২ তারিখের ১টি দিনে আমাদের সংগ্রহে যে সামান্য সংবাদ জমা হয়েছে; তাদিয়েই আপনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। ১. পুত্রের হাতে পিতা খুন ২. পিতার হাতে পুত্র খুন ৩. বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ৪. প্রতিপক্ষের হাতে আইনজীবি খুন ৫. দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতা খুন
একইদিনে কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক কুষ্টিয়ার খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়’র কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের (৩১) লাশ গড়াই নদে ভেসে ওঠার সংবাদে আমরা এতটা মর্মাহত যে তা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা নির্বাক নিস্তব্ধ। এমনসব খবরের পরে কোনো বিবেকবানের মুখে হাসি থাকতে পারেনা। দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের সকল সাফল্যের সুখানুভূতি নিমিষে ম্লান হয়ে যায় সন্তানহারা মায়ের কাছে।
আজি হতে শতবর্ষ পরের ভাবনায় কবিগুরু রবি ঠাকুরের লিখিত কবিতা যেমন যুগ থেকে যুগান্তরে নতুন শতাব্দির প্রেরণা জোগায়; তেমনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকন্ঠে বেরিয়ে আসা প্রতিবাদ- আর যতি একটা গুলি চলে… শত্রুর মোকাবেলায় জন্ম থেকে জন্মান্তরে সাহস জোগাবে। হে মানবতার মা শেখ হাসিনা, আপনার কন্ঠে আমরা জাতি শুনতে চাই- আর যদি এক ফোটা রক্ত এ বাংলার মাটিতে ঝরে… তাহলে প্রতিফোটা রক্তের দাম লক্ষ টাকা শোধ দিতে হবে। আপনার মূল্যবান দেশের নাগরিকের রক্তের মূল্য এতটাই নিচে নেমে গেছে যে, কোরবানীর পশুর ন্যায় গলা কেটে রক্তে ভাসিয়ে দিচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ আর কত হত্যা, ধর্ষণ আর লাশোদ্ধারের অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরে নিরাপদ জনপদে পরিণত হবে?
এই দেশকে নিরাপদ জনপদে রূপান্তরিত করতে চাইলে যাদেরকে সহযোদ্ধা হিসেবে পাবেন; তারাই কলম সৈনিক জাতির বিবেক সাংবাদিক তাদের জানের নিরাপত্তাই হুমকির সমুক্ষিণ। জননিরাপত্তা কোনো মন্ত্রণালয়ের একটা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। প্রতিটি গৃহে পুলিশি পাহারা পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র দিতে পারে নাই; পারবেওনা। প্রতিটি নাগরিকের রক্তের দাম বৃদ্ধি আর তাদের মূল্যবোধোদয়ে উৎসাহিত করতে পারলে আপনার দেশের প্রাণতুল্য নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। জানের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে নাদুসনুদুস দেহতুল্য দেশটি আবার কঙ্কালাবস্থায় ফিরে যাবে। যা কারো কাম্য হতে পারেনা।
লেখক- গবেষক মাসুম বিল্লাহ, সম্পাদক- সংগ্রহ বার্তা, প্রেসিডেন্ট- এনএনসি