আধুনিক যুগে মোবাইল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জুয়া এখন এক নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। সামান্য আনন্দ, অল্প আয়ের মোহে আমাদের অনেক তরুণ আজ নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জুয়া শুধু একজন মানুষকেই ধ্বংস করে না, তা ভেঙে দেয় একটি পরিবার, একটি সংসার, একটি স্বপ্ন। বিষয়টি নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন- প্রিয় যুবসমাজ তোমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত!
এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে এক কোটিপতি বোনের ১০ বছরের সংসার চূড়ান্ত পরিণতির মুখে পড়ে শেষ হয়ে গেছে। কোটিপতি ভাইটি জুয়া খেলতে খেলতে হয়ে গেছে সর্বস্বান্ত — আজ সে ভিখারির মতো জীবনযাপন করছে। নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে নিজের হাতে। কেউ কেউ এই টেনশনে আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হচ্ছে।
আরও ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, এতে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও জড়িয়ে পড়ছে। যাদের দিকে চেয়ে থাকে গোটা পরিবার, যারা বিদেশে গিয়ে কষ্টার্জিত টাকা পাঠায় — তারাও এই ব্যধিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। একদিকে পরিবার তাদের উপর নির্ভর করছে, অন্যদিকে তারা সেই অর্থ অপচয় করছে জুয়ার মতো অভিশপ্ত কাজে।
জুয়া মানুষকে ধ্বংস করে অর্থনৈতিকভাবে, মানসিকভাবে, পারিবারিকভাবে এবং আত্মিকভাবে। ইসলাম জুয়াকে হারাম ঘোষণা করেছে। আল্লাহ বলেন:
“হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারণের তীর — সবই শয়তানের অপবিত্র কাজ; অতএব তোমরা এগুলো থেকে দূরে থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।” (সূরা মায়িদা, ৫:৯০)
জুয়া একজন মানুষের দুনিয়া তো নষ্ট করেই, আখিরাতকেও করে ধ্বংস। পাপের বোঝা নিয়ে একজন মানুষ ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় আল্লাহর রহমত থেকে।
আসুন, সময় থাকতে নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে এই ধ্বংসাত্মক জুয়ার ছোবল থেকে রক্ষা করি। জীবনকে গড়ি হালাল পথে, পরিশ্রম ও তাকওয়ার মাধ্যমে।
জুয়া নয়, দায়িত্বশীলতা হোক আমাদের পরিচয়। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন ও হালাল জীবিকার দিকে ফিরিয়ে নিন। আমিন।
ধর্ম উপদেষ্টার ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত