নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন দলীয় প্রভাবে যশোর জেলার ঐতিহ্যবাহী কারবালা পীর নুর বোরহান শাহ ওয়াকফ এস্টেটের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। একটি আঞ্চলিক নিউজ পোর্টালে নতুন কমিটি ঘোষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে প্রশাসনকে কেন ২০২৪ সালেই নতুন কমিটি অনুমোদন দিতে হলো? এমন প্রশ্ন এখন জনমনে নানা জল্পনা কল্পনা সৃষ্টি করছে।
১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দখলে থাকা বাসস্ট্যান্ড, সিএনজিস্ট্যান্ড, বাজার, বালুমহালসহ বিভিন্ন স্থাপনা একে একে দখলে নিচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বালুমহাল ও পরিবহন খাত থেকে ওঠানো চাঁদার টাকা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে সমঝোতার চেষ্টার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট থেকে বিরত থাকতে নেতা-কর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দিলেও তা কাজে আসছে না। এমন অগণিত খবরের সাথে যুক্ত হলো যশোরের কারবালা পীর নুর বোরহান শাহ ওয়াক্ফ এস্টেট দখলদারির সংবাদ।
যশোর জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাধারণ সম্পাদক করে গত ১৪ আগষ্ট ২০২৩ তারিখে ৫ বছর মেয়াদী কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন। দেশে অন্তর্বর্তি সরকারের আমলে প্রশাসন নির্ভর এমন একটি কমিটি থাকা কালীন দলীয় প্রভাবে নতুন কমিটি ঘোষণার খবরে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এব্যপারে হাইকোর্টে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাষ্ট্রযন্ত্রকে যারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে বাঁধা দিচ্ছে; তাদের ব্যপারে সংস্কার কমিশনকে জানানো হয়েছে। দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসন ছাড়া দেশে সুশাসনের আশাই করা যায়না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজন।