নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন যাবৎ ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলাধীন জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিবার ও দখলদার এনামুল হক মাহতাবের গাজাখোর বাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি এনামুল হক মাহতাবের বিরুদ্ধে এলাকায় গ্রাম আদালত বসে। গ্রাম আদালতের প্রধান ৪নং কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদী পক্ষ ছোট হুজুরের সন্তানদের কাছে জানতে চাইলে তারা কাঠালিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ বা শালিশ মিমাংসাপত্রে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; তা তারা মেনে নিতে সম্মতি জানান কিন্তু বিবাদী এনামুল হক মাহতাব ও তার গাজাখোর বাহিনী তা মানতে নারাজি জানালে ভেবে চিন্তে তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে ৩ মাস সময় দেন গ্রাম আদালত।
পরবর্তিতে গ্রাম আদালত ও খবরের কাগজের প্রতি বিষোদগার করতে থাকে এনামুল হক মাহতাব ও তার গাজাখোর বাহিনী। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছোট হুজুরের পরিবারের সদস্যদের মামলা-হামলাসহ জীবন নাশেরও হুমকি অব্যহত রাখছে। এবিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলে গ্রাম আদালতের প্রধান ছোট হুজুর পরিবারকে থানায় না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫:৩০টায় ছোট হুজুরের সেঝ ছেলে মোঃ নূর ওবায়দুল্লাহ ঘর থেকে মাদ্রাসার সীমানায় পা রাখতেই শিক্ষক আমিনুরের নির্দেশে শিশু ছাত্ররা মুখে লা-হাওলা স্লোগান দিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে ৭/৮টি ছেলে কিল-ঘুষি এমনকি মাটিতে ফেলে লাথি দিতে থাকে অন্যদিকে শিক্ষক আমিনুর তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। এসময়ে বাবাকে বাঁচাতে তার মেয়ে তোহফা এগিয়ে আসে। তার কিছুক্ষণ পর মোঃ নূর ওবায়দুল্লাহর ছোট ভাই সংগ্রহ বার্তার সম্পাদকসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এদিকে ছোট হুজুর পরিবারের নারী সদস্য মিস তোহফার হাতের মোবাইলের আঘাতে তার বাবা নূর ওবায়দুল্লাহর ওপর আক্রমনকারি একটি ছাত্রের মাথা ফুলে উঠলে তাকে নিয়ে শিক্ষক আমিনুর কাঠালিয়া থানায় যান।
ছোট হুজুরের পরিবারের সদস্য দখলদার এনামুল হক মাহতাবের বাদী মোঃ নূর ওবায়দুল্লাহর ওপর শিশু ছাত্রদেরকে দিয়ে হামলা পরে মামলা দেওয়ার পরিকল্পনা জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।