নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলাধীন জয়খালী গ্রামে বসবাস করতেন আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ আব্দুল লতিফ ছোট হুজুর খ্যাত স্বনাম ধন্য একজন হাফেজে কোরআন। গত ১৪ ডিসেম্বর তিনি তার পরিবারেই ১৩ জন হাফেজে কোরআন রেখে ইন্তেকাল করেন। দেশের অসংখ্য হাফেজ আলেমদের শিক্ষক ছিলেন তিনি। তৎকালীন জয়খালী গ্রামের প্রায় সবাই তার কাছে ছহি শুদ্ধ কোরআন পড়া শিখেছেন বলে তার প্রতি যেমন সবাই কৃতজ্ঞ তেমনি তিনিও পবিত্র কোরআন শিক্ষা বজায় রাখার জন্য জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে যান।
মরহুম হাফেজ আব্দুল লতিফ ছোট হুজুরের ৪ ছেলের ৩ জনই গ্রামে থাকতেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে বিশেষভাবে বড় ছেলে হাফেজ মোঃ মুহিব্বুল্লাহর অনুপস্থিতিতে দখলদার মাহতাব তার স্বেচ্ছাচারিতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে গ্রামবাসী তার কাছে জবাব চাচ্ছেন যেসব প্রশ্নের; তা হলো-
১) ১৯৮০ সালে স্থাপিত মাদ্রাসা ৫ বছর কমিয়ে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত লিখলেন কেন?
২) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসা; সেই নামের পূর্বে মহসেনিয়া যুক্ত করেছেন কেন?
৩) মহসিন উদ্দিন হাওলাদার মাদ্রাসায় কত শতাংশ জমি দান করেছেন?
৪) মাদ্রাসার আশে পাশে আপনার নিজের কতটুকু জমি আছে?
৫) মাদ্রাসার আশে পাশে কয়জন আত্মীয়’র কতটুকু জমি আপনার দেখাশোনার দায়িত্বে আছে ?
৬) মাদ্রাসার সাইনবোর্ডে মিথ্যা ও ভুয়া জমিদাতার নাম লিখেছেন কেন?
৭) কয় সদস্য বিশিষ্ট আপনার কমিটি নিয়ে আপনি মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন?
৮) মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ বা হিসাব নিকাশের দায়িত্বে কে আছে?
৯) মাদ্রাসার মাসিক আয়-ব্যায়ের হিসাব খাতা কোথায়?
১০) মাদ্রাসার গাছ, মাছ ও ফল বিক্রির টাকা কোথায়?
১১) মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষকের নিয়োগ কর্তা কে?
১২) আপনি যে অদক্ষ শিক্ষক দিয়ে শিশুদেরকে অশুদ্ধ পড়তে বাধ্য করছেন; তার দায় কে নেবে?
১৩) মাদ্রাসায় পুরুষ বাবুর্চি রেখে মহিলা দিয়ে নাজায়েজ কাজ করছেন কেন?
১৪) একটু হলেই পবিত্র মাদ্রাসা অঙ্গণে গাজা খেয়ে এসে গালি গালাজ করে যেসব ছেলেরা; তাদের এখানে ডেকে আনেন কেন?
১৫) গাজাখোর ও বিভিন্ন কুকর্মের সাথে জড়িতদের কোনো মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিতে তো দূরের কথা পবিত্র প্রাঙ্গণে প্রবেশ করাও কেউ মেনে নিতে পারে কি? এসব প্রশ্ন এখন এলাকাবাসী সকলের।
গাজাখোর রাসেল, রিমন ও সবুজের সহযোগিতায় দখলদার এনামুল হক মাহতাবের স্বেচ্ছাচারিতা সীমা ছাড়িয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে কাঠালিয়া থানায়, উপজেলায় এবং ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় গ্রাম আদালত বসবে বলে এলাকাবাসী অপেক্ষায় রয়েছেন দখলদার মাহতাবের জবাব পাওয়ার জন্য। -NNC Kathalia