নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলাধীন জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসার চতুর্সীমানায়ও যার কোনো জমি নাই; যার বাবারও ওয়াক্ফ দলিল দেওয়া কিংবা মাদ্রাসার নামে দানকৃত কোনো সম্পত্তি নাই তবুও তিনি তার পিতাকে মাদ্রাসার ভুয়া জমিদাতা সাজিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে অবৈধ দখলদারিত্ব করে চলেছেন এনামুল হক মাহতাব পিতা মৃতঃ মহসিন উদ্দিন হাওলাদার।
১৯৮০ সালের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন ছারছিনা দরবারের পীরে কামেল মরহুম হযরত মাওলানা মুহাম্মদ নেছারুদ্দীন আহমেদ (রহ:) এর খেলাফতপ্রাপ্ত ৫২ মৌজার খলিফা মরহুম হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুজ্জব্বার মিয়াজী (রহ:) এর নাতনী জামাই ও মরহুম মৌলভী মুহাম্মদ মতিয়র রহমান ছুফি ছাহেবের মেয়ের জামাই মরহুম আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ আব্দুল লতিফ ছোট হুজুর (রহ:)।
জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ আব্দুল লতিফ ছোট হুজুর (রহ:)এর পরিবারিক সূত্রে ১৩জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ থাকা সত্ত্বেও দখলদার মাহতাব একজন ভুয়া হাফেজ দিয়ে শিশুদের অশুদ্ধভাবে কোরআন শরীফ পড়ান। তার প্রতিবাদ করার মতো কেউ নাই বলে ছোট হুজুরের নিজ হাতে রোপন করা গাছ, পুকুরের মাছ, গাছের ফল নারিকেল, সুপারি, আম, আমড়াসহ বিভিন্ন ফলফলাদি, মাঠে ফলানো ফসল ও চরানো ছাগল বিক্রির টাকা এমনকি ছোট হুজুরের নামের দান খয়রাতও নিজের উপার্জন হিসেবে গ্রহণ করে চলছেন।
এনামুল হক মাহতাবের এহেন অবৈধ দখলদারিত্বের সহযোগি ১) তার একমাত্র বখাটে ছেলে রাসেল ২) আবুল হোসেনের ছেলে রিমন ও ৩) আমির হোসেনের ছেলে সবুজ। যাদের বিভিন্নভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছে ছোট হুজুরের গোটা পরিবার কেননা তাদের বাড়ির সামনেই মাদ্রাসাটি স্থাপিত।
অগণিত হাফেজ ও আলেমদের শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ আব্দুল লতিফ ছোট হুজুর (রহ:)এর পরিবারিক সূত্রে পবিত্র কোরআনের ১৩জন হাফেজদের নামের তালিকাঃ বড় ছেলে হাফেজ মুহিব্বুল্লাহ, মেঝ ছেলে হাফেজ অলি উল্লাহ, মেঝ মেয়ে হাফেজা তামান্না, মেঝ মেয়ের জামাই হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, ছোট মেয়ের জামাই হাফেজ কাওছার আহমেদ, সেঝ ছেলের স্ত্রী হাফেজা ফজিলা খাতুন, ভাইর ছেলে হাফেজ আব্দুল হাই, নাতি জামাই হাফেজ বায়জিদ, নাতি হাফেজ সিয়াম, হাফেজ তালহা, হাফেজ নোমান, হাফেজ নাঈমা ও পুতি হাফেজ মুস্তাইন বিল্লাহ।
উল্লেখ্য, একদা সাইফুর রহমান মঞ্জু নামে এক নিঃসন্তান জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছোট হুজুরের কাছে দোয়া চাইতে এসে তাকে আশ্বস্ত করেন যে, তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি তিনি পাকা ভবন করে দিবেন। ছোট হুজুর এই আশ্বাস পেয়ে তার নিত্য তাহাজ্জুদের নামাজান্তে নিঃসন্তানের কষ্টের বিষয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন। বছর না ঘুরতেই আল্লাহর ইচ্ছায় মঞ্জুর ঘরে এক পুত্র সন্তান আসে। মঞ্জুও তার ওয়াদা অনুযায়ি তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ছোট হুজুরের দোয়া প্রাপ্ত মঞ্জুকে দখলদার মাহতাবের কুপরামর্শের ফাঁদে পা দিয়ে মামার সামনে ভাগ্নাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে যেতে হয়।
আল্লাহ পাক যেন তার দ্বীন ইসলাম রক্ষায় জয়খালী হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ দেশের সকল ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দখলদারমুক্ত করেন; সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করেন ছোট হুজুর পরিবারের সকল সদস্য ও তার আত্মীয় স্বজনসহ দ্বীনদার ইমানদার এলাকাবাসি সবাই। -NNC Kathalia