২৩ অক্টোবর ’২৩ দক্ষিণ বঙ্গের প্রবীণ হাফেজে কোরআন মোঃ আব্দুল লতিফ এর স্ট্রোক ও বার্ধক্য জনিত কারণে দেশের সেরা জাতীয় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তির আশা নিয়ে হাজির। আমার একজন সহযোদ্ধা সিনিয়র সাংবাদিক শামীমা আক্তার দোলা আমাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে বললেন। আমি তার কথামত যথারীতি তার চেম্বারে ঢুকে পড়লাম। প্রাথমিক আলাপ চারিতায় কঠিন মনে হলেও তিনি আমাকে আশাহত করলেন না। বাবার ভর্তির নিশ্চয়তা পত্র হাতে নিয়ে আল্লাহর শোকরিয়া করলাম। কৃতজ্ঞতা জানালাম সহযোদ্ধা সাংবাদিককে।
পরের দিন ২৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় বাবাকে এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে হাজির হলাম। পুজার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় রোগীর চাপ অতটা না থাকলেও ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা পরিলক্ষিত হল। লাইনে দাড়িয়ে টিকেট আনতে গেলে গরম মেজাজের সম্মুখীন হলাম। টিকেট মাস্টার মোবাইলে দীর্ঘ আলাপে মশগুল বলে কথা বলাই ছিল দায়। বন্ধের দিনে ঝামেলার অসহ্যভাব নিয়ে বললেন যার রেফারেন্সে ভর্তি হতে আসছেন তার কাছে যান। বললাম সেতো ৬ তলায়; আপনি টিকেটটা দিন। গ্লাসের ভিতর থেকে ধমকের স্বরে বলেন ৬ কেন ৯০ তলায় হলেও গিয়ে আসেন। ১০টার পরে ৬ তলা থেকে ভর্তির আশ্বাস পেয়ে নিচে এসে আবার টিকেট প্রার্থনা করলাম। আব্দুল লতিফ স্থলে আবুল লতিফ লিখে ১০টাকায় একখানা টিকেট দিলে আমি একধাপ আগালাম। আনসার সদস্য ভিতরে যেতে দিলে টিকেটটি নিয়ে একজন কর্মকর্তার হাতে দিলাম। তিনি বললেন আগে রোগীর সিটি স্ক্যান করে নিয়ে আসেন।
(চলবে)