ওয়াকফ আরবি শব্দ, এর অর্থ ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে মুক্ত কোনো সম্পত্তির হেফাজত করা। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘ভারতের মুসলমান ওয়াকফ বৈধকরণ আইন’-এ প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ওয়াকফ অর্থ কোনো মুসলমান কর্তৃক তাঁর সম্পত্তির কোনো অংশ এমন কাজের জন্য স্থায়ীভাবে দান করা; যা মুসলিম আইনে ‘ধর্মীয়, পবিত্র বা সেবামূলক’ হিসেবে স্বীকৃত। বিস্তারিত প্রথমআলোয়
ওয়াকফকৃত বস্তুর মধ্যে যাতে ওয়াকফ বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য ওয়াকফকৃত বস্তুর মধ্যে কিছু শর্ত আছে। সেগুলো হচ্ছে : বিস্তারিত কালেরকন্ঠে
কয়েকটি প্রস্তাব : ১. ‘বাংলাদেশ ওয়াক্ফ আইন-১৯৬২’কে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আরো যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। ২. একটি আওকাফ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। ৩. ওয়াক্ফ বিষয়ে অধিকতর গবেষণার উদ্দেশ্যে দেশের বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ আলেম ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেতে পারে। ৪. ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছোট ছোট ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেতে পারে। ৫. জনসাধারণকে ওয়াক্ফ বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্র্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ৬. সরকারিভাবে একটি ওয়াক্ফ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। ৭. অধিক জনসচেতনতার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচিতে ওয়াক্ফবিষয়ক অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ৮. এতিম ও পথশিশুদের জন্য খাদ্য ও বিনোদনের বিনিময়ে শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে ওয়াক্ফভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। ৯. ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ ওয়াক্ফ আন্দোলন জোরদার করা প্রয়োজন, যাতে এর মাধ্যমে কল্যাণধর্মী ব্যাংকিংয়ের সুফল সব অভাবী ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়। ১০. সর্বোপরি, ওয়াকফ বিষয়ে শক্তিশালী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিস্তারিত নয়াদিগন্তে
ওয়াকফ অধ্যাদেশ ১৯৬২-এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো মুসলমানের ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করাকে ওয়াকফ বোঝায়। তবে কোনো অমুসলিম ব্যক্তি ওয়াকফের উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি দিতে পারবেন।’ ওয়াকফের স্বতন্ত্র আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। যা কোরআন-সুন্নাহ স্বীকৃত এবং দলিল-প্রমাণ থেকে গৃহীত। ওয়াকফ ব্যবস্থা যুগের সঙ্গে উৎকর্ষও হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এর আইনি অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফিকহ ফোরাম ও শরিয়া বোর্ড তাদের সিদ্ধান্ত ও শরিয়া স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশ করেছে। –আলোকিতবাংলাদেশ
মসজিদের স্থাবর সম্পত্তির আইনি সুরক্ষা দিয়ে এবং মসজিদের কোন সম্পত্তি দখল করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড প্রধানের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ‘চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ বিল, ২০২৩’। –মানবকন্ঠ