সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনসহ ৬ বিষয়ে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চার দিনের সীমান্ত সম্মেলন। –যুগান্তর
চারদিনের সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবির রংপু রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বালাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদসহ রংপুর ও যশোর রিজিয়নের অধীনস্থ সেক্টর কমান্ডারগণ, বিজিবির স্টাফ অফিসারবৃন্দ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়ুষ মানি তিওয়ারির নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের নোডাল অফিসার, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। –বাংলাদেশপ্রতিদিন
চার দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়। বিএসএফের সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি আয়্যুষ মানি তিওয়ারি। অন্যদিকে ২১ সদস্যের বিজিবির নেতৃত্ব দিয়েছেন রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। সম্মেলন শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনে ছয়টি বিষয়ে সিন্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো– সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিএসএফের অঙ্গীকার, ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে রাত্রিকালীন যৌথ টহল বাড়ানো, সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, জনসচেতনতা ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ, অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ (মাদক পাচার, অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ চোরাচালান প্রভৃতি) রোধে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। –সমকাল