‘মুক্তিযুদ্ধ’ বাঙালির জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন বীরাঙ্গনা হয়েছেন যুদ্ধ করে বাংলাদেশের পতাকা অর্জন করেছেন তারা আমাদের পরম শ্রদ্ধার পাত্র। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অভ্যুদয় কোনো সহজ পথ ধরে আসেনি। এই মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে পুরোপুরি শত্রুমুক্ত করে বিজয় অর্জন করে আমাদের দেন স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটি দেশ যার কারণে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অর্জন করেছে !
আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানব সেবায় ব্রত হয়ে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করেছেন। কত মা বোন ইজ্জত হারিয়েছেন দেশের মুক্তির জন্য। কত গণহত্যা হয়েছে।এই মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে প্রাণের বিনিময়ে। যারা বেঁচে আছেন আমরা তাদের সান্নিধ্য পেয়েছি সৌভাগ্যক্রমে।
যারা এই মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে তাদের ধিক্কার জানিয়েছেন সুশীল সমাজ। যারা কোনো মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান রাখেনা; তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে তখনও ছিল এখনও আছে- এটাই তার প্রমাণ। সবাই মিলে এদের বিচার করা উচিত। স্বাধীনতা কোন দলের নয়। মুক্তিযোদ্ধা কোন গোষ্ঠির নয়। বাংলাদেশ সবার দেশ। মুক্তিযাদ্ধা সকলের সম্পদ। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অন্যতম অধ্যায় হলো একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের দেশের স্বাধীনতায় যার অবদান তিনি একজন নির্ভীক মুক্তযোদ্ধা। এমন একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা কাছে পেয়েছি। তিনি আমাদের সকল বাঙালীর অহংকার এবং পরম শ্রদ্ধেয় তাজুল ইমাম। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সম্পর্কে যারা একটা অযাচিত শব্দ ব্যবহার করে আমরা তাদের তীব্র নিন্দা আর প্রতিবাদ করি। দেশ আজ যাদের কারণে স্বাধীন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করা মানে অকৃতজ্ঞ ও বেইমানের পরিচয় দেওয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য অনভিপ্রেত।
বিশিষ্ট লেখক রূপা খানম বলেন- আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নিন্দা করি এবং সম্মিলিতভাবে তাদের বয়কট করার দাবী জানাই। যাকে নিয়ে আমার এই লেখা তার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য সকলের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হল।
নাম: তাজুল ইমাম ২/সি ও ভারপ্রাপ্ত অপারেশন কমান্ডার। গেরিলা প্লাটুন # ১০৮ ( এফ এফ)। মুক্তিযুদ্ধ – ১ নং সেক্টর। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১। ট্রেনিং: পার্ব্বত্য ত্রিপুরা বগাফা ট্রেনিং সেন্টার ও হরিণা আর্মি ক্যাম্প। সাবসেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনীয়ার মোশাররফ হোসেন এর তত্বাবধানে প্লাটুন গঠন, অস্ত্র গ্রহন এবং শপথ পাঠ। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় বেসামরিক গেজেট নং ৪৮৮৫। যুদ্ধকাল: ৩ জুলাই ১৯৭১ – ১৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধক্ষেত্র: চট্টগ্রাম কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ ও কালুরঘাট এলাকা। (বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।)