মদীনার ইসলাম যারা মদীনায় পাঠিয়ে দিতে চায়; তারা মসজিদে শিশুদের অধিকার বঞ্চিত করছে। এব্যাপরে সবাইকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান এনএনসির।
শিশুদের কোলাহলমুক্ত মসজিদ পরিত্যাক্ত গৃহে পরিণত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ সঃ। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ সঃ নামাজ সংক্ষেপ করে শিশুকে আদরের সাথে কান্না থামাতে নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসের বর্ণনায় পাওয়া যায়, শিশু হাসান ও হুসাইন সেজদারত বিশ্বনবীর ঘাড়ে চড়ে বসলে তিনি সেজদা ততক্ষণ দীর্ঘ করতেন যতক্ষনে না শিশু হাসান ও হুসাইন স্বাভাবিকভাবে সরে যেত।
শিশু অধিকারে ইসলামের নীতি অনন্য। একদা বিশেষ অধিবেশনে বিশ্বনবী জরুরি আলোচনারত ছিলেন। প্রশাসনিক কঠোরতায় অদ্বিতীয় ওমর রাঃসহ সকলের উপস্থিতিতে সভার মাঝখানে একটি অপরিচিত শিশুর প্রবেশে সভার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল। শিশুটিকে ধমক দিয়ে বের করে না দিয়ে সকলের সহনশীলতা প্রত্যাশা করেন প্রিয় রাসুল। পরক্ষণে শিশুটি সভার সভাপতি বিশ্বনবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, আপনার সাথে কথা আছে। নবী তার কথা অান্তরিকভাবে শোনার প্রস্তুতি নিলে শিশুটি তাকে মজলিশ থেকে বের হয়ে আসতে বলল। চরমাবস্থায়ও নবী শিশুর প্রতি বিরাগভাজন হলেন না। সভা থেকে উঠে এলে শিশুটি নবীকে তার কথাটি গোপনে শোনার জন্য কিছুটা দূরবর্তী একটি পাহাড়ের কাছে যেতে বলল। নবী শিশুটির সাথে পায় হেটে গিয়ে তার কথা শুনতে চাইলে শিশুটি সেখান থেকে আরো দূরের আরেকটি পাহাড় দেখালেন। আবার সামনে চলা। কথা হচ্ছেনা। হচ্ছে শিশুর প্রতি মানবিক আচরণের সেরা ইতিহাসের সূচনা। একের পর এক কয়েকটি পাহাড়ের পাদদেশ প্রদক্ষিণের পরেও রহমাতুল্লিল আলামীনের চেহারায় যখন শিশুটির প্রতি সামান্যতম বিতৃষ্ণাভাব ফুটে ওঠেনি। তখন শিশুটি বলে উঠল- হে রাসুল, আমি কোনো সাধারণ শিশু নই; আল্লাহর প্রেরিত ফেরেস্তা। ফেরেস্তাতুল্য সেই শিশুদের জন্য পৃথিবীর সব দরজা খুলে দাও। মনে রেখো, বঞ্চিত অবহেলিত শিশুদের থেকেই বেরিয়ে আসে ভয়ানক সন্ত্রাসী।
অতএব, শিশুদের ব্যপারে মসজিদের কমিটিসহ সকল মুসল্লিদের আরো সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান হলো।