নোয়াখালীর লোকে যেমন প-কে হ- উচ্চারণ করে পানিকে হানি বলে। বরিশালের লোকে শ-কে হ-উচ্চারণ করে শালাকে হালা বলে বাংলা শব্দকে সর্বনাশ করছে। তেমনি মিশরীয়রা আরবি জিম-কে গ-উচ্চারণ করে দুজাজকে দুগাগ বলে। আরবি দুজাজ মানে মুরগী। এমনকি জেদ্দা সৌদি আরবের প্রাচীন রাজধানী শহরের নামটিকেও মিশরীয়রা গেদ্দা বলে থাকে।
মিশরীয়দের উচ্চারণের অনুসরণ আমাদের দেশে করেনা বিধায় আরবি উচ্চারণে বিপত্তি না ঘটলেও পাকিস্তানীদের দ্বারা প্রভাবিত বাংলাদেশে কতিপয় মৌলবিরা প্রতি রাকাতে পঠনীয় সুরা ফাতিহার শেষ আয়াতে দল্লীনকে জল্লীন বলে টেনে পড়তে উৎসাহিত করে। ইন্টারনেটের আশির্বাদে সঠিক উচ্চারণটি কাবা শরীফের ইমামদের কাছ থেকে শুনেও তারা মানতে না পেরে তাদের শিক্ষার্থীদের দল্লীন জল্লীনের মাঝামাঝি উচ্চারণে বাধ্য করে আসছে।
মিশরীয়রা যেমন জিমকে-গইনের উচ্চারণে অভ্যস্ত তেমনি পাকিস্তানীরা দ্বদকে-জ্ব-এর উচ্চারণ করতে অভ্যস্ত। তাদের ভুল উচ্চারণগুলো দিয়েই আমরা যুগযুগ ধরে বলছি, লিখছি, পড়ছি এবং শুনছি। যেমন- অদুকে অজু, রাদিকে রাজি আর রমাদানকে রমজান এমনি অসংখ্য আরবি শব্দকে আমাদেরকে বিকৃত উচ্চারণ করে যেতে হচ্ছে। আরবি ব্যাকরণ নাহু ছরফে লেখায় মাদি থাকলেও পড়তে হয় মাজি। মাদি মানে অতীত। লেখায় মোদ্ব-রে’ উচ্চারণে মোজারে’ পড়তে হয় আরবি ভাষা শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থীরা পরবর্তিতে আরব দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে যান; তারা তখন পাকিস্তানীদের ভুল উচ্চারণে শেখা শব্দ ব্যবহারে পড়েন বিপাকে।
সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তারকে (শেলী)’র ফেসবুকে রমজান আর রমাদান শব্দদ্বয়ের কি বিশ্লেষণ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তার বিস্তারিত জানা হয়নি। তবে তিনি চাকরিচ্যূতির মতো অপরাধ করেছেন বলে মনে হচ্ছেনা।