গতকাল ৩১ মার্চ ২০২০ প্রথম আলো ৮ পাতার অধুনা ও ১৬ পাতার মূল কাগজকে ১২ পাতায় সংকোচিত করা হয়েছে। দেশের শীর্ষ সংবাদপত্রই যখন গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে সেখানে সাধারণ ও আঞ্চলিক পত্রিকার কি অবস্থা হতে পারে তা অার সচেতন নাগরিকদের বুঝতে বাকি থাকেনা।
মহামারি আকারে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে পড়ছে। মৃত্যু ছুয়ে যাচ্ছে প্রাণ থেকে প্রাণে। বিশ্ববাসী তাদের আয় উপার্জন ব্যবসা বানিজ্য সব ছেড়ে গৃহের কোণে আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্ব বিপর্যয়ের অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। মহাগ্রন্থ আল ক্বোরআনের হরফগুলোও মহাকালের পূর্বাক্ষণে বিলুপ্ত হওয়ার কথা আছে। জ্ঞানের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফের অন্ধকার যুগ নেমে অাসবে ধরার বুকে। যেই আইয়্যামে জাহেলিয়াত থেকে মানুষ আর ফিরে আসার সুযোগ পাবেনা সেই যুগের দিকে এখনই এই বিশ্বকে ঠেলে দিতে না চাইলে খবরের কাগজ রক্ষা করতে হবে।
একের ভেতর অসংখ্য প্রযুক্তির জায়গা স্মার্টফোন দখল করলেও খবর কাগজের জায়গার দখলদারি মেনে নেয়া ঠিক হবেনা। বিশ্ববিবেক জাগ্রত রাখতে হলে শুধু বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় প্রকাশিত খবর কাগজই নয়; বরং বিশ্বের প্রত্যেক জাতির নিজ নিজ ভাষার খবর কাগজ রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। এব্যপারে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নোয়াব, অ্যাটব ও সম্পাদক পরিষদ আলোচনা করতে পরামর্শ দেন জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন, সেনাপতি তুল্য মস্তিষ্কের নির্দেশনা সৈনিক তুল্য বিশেষ কোনো ইন্দ্রিয়ের তথ্য পেয়ে যতোটা না সঠিক হয়; তার চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে একাধিক ইন্দ্রিয় কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে।
দু’হাতে বুকের সাথে চোখের সামনে অাপন মনে খবর কাগজ পড়ে পাওয়া জ্ঞানের গভীরতার সাথে বৃদ্ধাঙ্গুলির টাচের চটজলদি পাওয়া ধারণার তুলনা হয়না। আসুন তাই আমরা আমাদের জ্ঞানের অন্যতম বাহক খবর কাগজ রক্ষা করি। জাতীয় সংবাদ জাদুঘর গড়ি।