দেশের অর্ধ শত জাদুঘরের তথ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করছে সংবাদ জাদুঘর। আন্ডার লাইনযুক্ত ভিন্ন রঙের লেখার উপরে ক্লিক করলে ১৮ মে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস সম্পর্কে জানতে ও নিম্নে প্রদত্ত দেশের বিভিন্ন জাদুঘরের তথ্যসূত্র পেয়ে যাবেন।
১. বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর (দেশের প্রথম জাদুঘর)
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।
২. শিক্ষা জাদুঘরঃ
রামধনপুর। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি গ্রাম। গ্রামে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে রয়েছে অর্ধশতবর্ষী মাটির স্কুল ঘর। সেই ঘরে চালু হচ্ছে দেশের ‘প্রথম’ শিক্ষা জাদুঘর।
৩. ধান জাদুঘরঃ
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাত উন্নয়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) যাত্রা শুরু হয়েছিল সত্তরের দশকে। প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত ১০৮ জাতের মধ্যে কোনোটি উচ্চ ফলনশীল জাত, কোনোটি লবণ, খরা কিংবা বন্যাসহিষ্ণু। এই সব জাতের ধান একসঙ্গে দেখা যাবে দেশের প্রথম ‘রাইস মিউজিয়াম’ বা ধান জাদুঘরে।
৪. মিনি জাদুঘরঃ
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লায় আজাদ তালুকদার নিজ উদ্যোগে এবং প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় ১৯৯৪ সালে সংগ্রহশালাটি গড়ে তোলেন।
৫. পানি জাদুঘরঃ
বাংলাদেশের মানুষের নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্বের অষ্টম ও এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘর।
৬. প্রাণি জাদুঘরঃ
দুর্লভ বিলুপ্ত বন্য প্রাণি সংগ্রহ ও প্রজনন, প্রাণি বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, শিক্ষা, গবেষণা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিড়িয়াখানা অন্যতম অবদান রেখে আসছে। সেই সঙ্গে দর্শকদের আরো গভীরভাবে প্রদর্শনের জন্য ঢাকা চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে ১৯৭৪ সালে স্থাপন করা হয় প্রাণি জাদুঘর। তবে প্রাণি জাদুঘরের ব্যপকতায় এবার দেশে আরো একটি জাদুঘর উন্মোচিত হচ্ছে।
৭. পদ্মা সেতু জাদুঘরঃ
পদ্মা সেতু এলাকায় প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রকল্পের শুরু থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২৩০০ প্রাণির নমূনা নিয়ে পদ্মা সেতু জাদুঘর উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। এর সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
৮. নৌকা জাদুঘরঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে বরগুনায় দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর উদ্বোধন হয়েছে। ৭৮ শতক জমির উপর মাত্র ৮১ দিনে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।
৯. লালবাগ কেল্লার জাদুঘরঃ
রাজধানী ঢাকার প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে লালবাগ দুর্গ অন্যতম। এখানে সারা বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আসা-যাওয়া থাকে। সাপ্তাহিক ছুটিসহ বছরের অন্যান্য ছুটির দিনগুলোয় এ দুর্গ জাদুঘর যেন জনারণ্যে পরিণত হয়।
১০. বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরঃ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত দেশের প্রধান জাদুঘর। এটি মার্চ ২০, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং ৭ আগস্ট, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর তারিখে এটিকে জাতীয় জাদুঘরের মর্যাদা দেয়া হয়।
১১. ভাষা আন্দোলন জাদুঘরঃ
বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের দোতালায় রয়েছে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারটি কক্ষ নিয়ে সাজানো এ জাদুঘরে ভাষা আন্দোলনের নানা নিদর্শন রাখা হয়েছে।
১২. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউট ভাষা জাদুঘরঃ
সেগুনবাগিচায় বাংলা শিল্পকলা একাডেমীর পাশে ভাষা-জাদুঘরে ভাষা আন্দোলনের বহু দুর্লভ ছবি, ভাষা শহীদদের ছবি, এশিয়া মহাদেশের ভাষাগ্যালারি, অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় বিভিন্ন দেশের ভাষিক নানা নিদর্শন রয়েছে।
১৩. ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালাঃ
ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ২০১২ সালে ‘ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা’টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্মৃতি জাগানিয়া এই জাদুঘর ও সংগ্রহশালাটিতে ভাষা আন্দোলন ও শহীদ আবুল বরকতের স্মৃতির বেশ কিছু দুর্লভ সংগ্রহ রয়েছে।
১৪. স্বাধীনতা জাদুঘরঃ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাঙালি ঐতিহ্যের সমুজ্জ্বল এক নাম। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালিকে এই ঐতিহাসিক স্থান থেকেই স্বাধীনতার মন্ত্র শুনিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই উদ্যানেই স্থাপিত হয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর। ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ জাদুঘরটি যাত্রা শুরু করে।
১৫. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরঃ
প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। নতুন ঠিকানা এফ-১১/এ-বি, সিভিক সেক্টর, আগারগাঁও, ঢাকা। শুধু নতুন ভবনই নয়, এটির পরিসরও বাড়ছে। যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নিদর্শন।
১৬. বিজয় কেতন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরঃ
বিজয় কেতন জাদুঘর ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত। এ জাদুঘরটির মূল প্রদর্শনী সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পটভূমি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দিশালা।
১৭. বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরঃ
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পুলিশের প্রথম প্রতিরোধ ও মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের স্মারক নিয়েই ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের টেলিকম ভবনে প্রথম জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। আর এখনকার ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভের ঠিক পাশেই।
১৮. রাজশাহী পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘরঃ রাজশাহী পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর’র উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর- ২০২২ তারিখ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ফিতা কেটে এ জাদুঘর উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান এমপি। পরে তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সাক্ষর করেন। -ডেইলি অবজারভার
১৯. বাঙালি সমগ্র জাদুঘরঃ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে বাঙালি সমগ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে নবম বর্ষে পদার্পণ করল এই জাদুঘর। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারাকে সমৃদ্ধ করতে যেসব কীর্তিমান বাঙালি বিশেষ অবদান রেখেছেন তাদের সৃষ্টি ও কর্ম সংগ্রহ, স্থায়ী সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে এই জাদুঘর যাত্রারম্ভ করে।
২০. এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরঃ
ঢাকার নবাবদের স্মৃতিবিজড়িত নিমতলী প্রাসাদে আছে একটি জাদুঘর। ১৭০০ থেকে ১৯০০ শতাব্দীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নির্দেশক নানা জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো। মোট পাঁচটি গ্যালারিতে দরবারে ব্যবহূত হুঁকা, মসলিন কাপড়, মুদ্রা, কাঁটা চামচ, চাকু, বাটি, স্যুপ পাত্র, বাতি, ক্যাশবাক্স, পানদান, কোরআন শরিফ, দোয়াত, ঝাড়বাতি ইত্যাদি রাখা হয়েছে। নিমতলী প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে পরিচিত নিমতলী দেউড়ি, ১৭৬৫-৬৬ সালে তৈরি।
২১. বিমান জাদুঘরঃ
বিমান বাহিনী জাদুঘর মূলত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত একটি জাদুঘর। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এটি চালু করা হয়, যা পুরনো বিমানবন্দরের একটি অংশে গড়ে উঠেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেগম রোকেয়া সরণি সংলগ্ন তেজগাঁও বিমানবন্দর রানওয়ের পশ্চিম পাশে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
২২. শিশু জাদুঘরঃ
রাজধানীর দোয়েল চত্তরের সন্নিকটে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে শিশুদের জন্য শিশু জাদুঘর রয়েছে সে কারণে শিশুদেরকে জাদুঘর বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা এবং জাতীয় আন্তর্জাতিক ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে শিশুদেরকে জানানোই এর মূল লক্ষ্য।
২৩. জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরঃ
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার ২৬ এপ্রিল, ১৯৬৫ সালে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি অনানুষ্ঠানিক বিজ্ঞান শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
২৪. বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরঃ
১৯৮৭ সালে ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসের প্রবেশদ্বারে প্রথম সামরিক জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সামরিক জাদুঘরের গুরুত্ব এবং দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ১৯৯৯ সালে জাদুঘরটি স্থায়ীভাবে ঢাকার বিজয় সরণিতে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘরঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের যে বাড়িতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন, স্বাধিকারের সংগ্রামে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, সে বাড়িটি আজ তাঁর নানা স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে। বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।
২৬. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘর, জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘর ও কারা অধিদপ্তর ভ্রমণসূচি: জনাব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২৭. বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরঃ
গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহরের রেলওয়ে স্টেশনে গত সোমবার ভ্রাম্যমাণ এ জাদুঘর প্রদর্শনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
২৮. শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরঃ
এলিফেন্ট রোডের ছোট্ট এক গলিতে বাড়িটা, অথচ সেখানে থাকা জাদুঘরে ঢুকলেই মনে হয়, এখানেই তো স্থির হয়ে আছে বিজয়ের গল্প। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে যে বিশাল গণ-আন্দোলন গড়ে উঠল গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে, তা যেন জীবন্ত হয়ে স্থান করে নিয়েছে এই বাড়িটার দোতলায়।
২৯. আহসান মঞ্জিল জাদুঘরঃ
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ভ্রমণ ও বিনোদন প্রিয় শত শত মানুষের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে এ চত্বর । দোতলা থেকে সিড়ি চলে গেছে নদীর ঘাটে । প্রায় পাঁচ একর জমিসহ ঐতিহাসিক এই ভবনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার অধিগ্রহণ করে জাদুঘরে রূপান্তর করেন।
৩০. শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরঃ
রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় নিপুন কাঠখোদাই গ্যালারিতে কাঠের তৈরি প্রাচীন ও আধুনিককালের নিদর্শন দিয়ে সজ্জিত কারুশিল্প জাদুঘরটি ১৯৯৬ সালের ১৯ অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন করেন।
৩১. লোক-ঐতিহ্য জাদুঘর, ভাষা আন্দোলন জাদুঘর ও জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘরঃ
বর্ধমান হাউসে আরও একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ‘লোক-ঐতিহ্য জাদুঘর’ নামে এই জাদুঘর নিয়ে ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে জাদুঘরের সংখ্যা হচ্ছে তিনটি। কয়েক বছর আগে এ ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘ভাষা আন্দোলন জাদুঘর’ এবং ‘জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর’ নামে দুটি আলাদা জাদুঘর।
৩২. ডাক জাদুঘরঃ
প্রথম স্থাপন করা হয় ১৯৬৬ সালের ৯ অক্টোবর, ঢাকা জেনারেল পোস্ট অফিসের কাউন্টারের পাশে। পরবর্তীকালে ১৯৮৫ সালে এটি একই ভবনের তৃতীয় তলার দুটি কক্ষে সম্প্রসারিত হয়। মোট ২,১৬০ বর্গফুট আয়তনের কক্ষ দুটির একটিতে ডাক বিভাগের কার্যক্রমে ব্যবহূত বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে।
৩৩. টাকার জাদুঘরঃ
প্রতিটি স্বাধীন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত হয় একটি মুদ্রা জাদুঘর। সে দেশের মুদ্রা জাদুঘরে প্রদর্শিত মুদ্রা দেশটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। এ কারণেই সারা পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে মুদ্রা জাদুঘর। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর, বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানের উদ্যোগে ঢাকার মিরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা জাদুঘর।
৩৪. ঢাকা নগর জাদুঘরঃ
পুরোনো-নতুন মানচিত্র দুটি সংগৃহীত আছে ঢাকা নগর জাদুঘরে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগরভবনের ছয়তলায় এর অবস্থান। ১৯৮৭ সালের ২০ জুন পুরান ঢাকার পাঁচ ভাই লেনের একটি বাড়িতে ঢাকা নগর জাদুঘর প্রথম শুরু হয়।
৩৫. ঢাকা কেন্দ্র জাদুঘরঃ
পুরান ঢাকার ২৪, মোহিনী মোহন দাস লেনে আছে ‘ঢাকা কেন্দ্র’। মাওলা বখ্শ সর্দার মেমোরিয়াল ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে চলে এই জাদুঘর। গ্রন্থাগার ও সুপরিসর পাঠকক্ষ। অপর অংশে রয়েছে সংগ্রহশালা, অডিটোরিয়াম, সুদৃশ্য বাগান এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ভাস্কর্য। সব মিলিয়ে একটি ঢাকার আকড় ইতিহাস।
৩৬. মিনি জাদুঘর ডাকসু সংগ্রহশালাঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাসকে সহজে জানার উপায় হচ্ছে ডাকসু সংগ্রহশালা। ১৮৮৩ সাল থেকে এদেশের মুদ্রা, দুর্লভ আলোকচিত্র, পুস্তক, কোলাজ পদ্ধতির পোস্টার, পত্রিকা কাটিং, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ইত্যাদি ইতিহাসের উপাদান সংরক্ষিত আছে এখানে।
৩৭. সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘরঃ
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরাতন আদালত ভবনে যাত্রা শুরু করেছে ঐতিহ্য জাদুঘর। সুনামগঞ্জকে জানতে ও দেশবাসীর কাছে জেলার পরিচয় তুলে ধরতে এ ঐতিহ্য জাদুঘরের যাত্রা। জেলার পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধসহ সব স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে এ জাদুঘরে।
৩৮. চলনবিল জাদুঘরঃ
দেশের বৃহত্তম বিল-চলনবিলের মধ্যাস্থলে গুরম্নদাসপুর উপজেলার নাটোর জেলার খুবজীপুর গ্রামে এই জাদুঘরটির অবস্থান। জ্ঞানপিপাসু অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ ১৯৭৮সালের ১লা সেপ্টম্বর এটি প্রতিষ্ঠা করেন । জাদুঘরটি উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
৩৯. কৃষি জাদুঘরঃ
যদিও দেশের একমাত্র কৃষি জাদুঘর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যান্তরে বলা হয়ে থাকে; ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতেও কৃষি জাদুঘরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ, প্রদর্শন এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জাতীয় চেতনা ও উপলব্ধিকে শানিত করে কৃষির বিবর্তন ও ক্রমবিকাশের পরিস্কার ধারণা দিতেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত দেশের প্রথম ‘কৃষি জাদুঘর’।
৪০. জাহাঙ্গীর শাহের কৃষি জাদুঘরঃ
নওগাঁ জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা পাড়ি দিয়ে মান্দা সদরে সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে কালিগ্রামে পৌঁছাতে হবে। গ্রামের মাটির ঘরেই এমন এই ‘শাহ্ কৃষি জাদুঘর’। ২০০০ সালের ১৮ এপ্রিল এই কৃষি তথ্য জাদুঘরটির যাত্রা শুরু। এমন এই কৃষি তথ্য জাদুঘরের পাশাপাশি তিনি রাজশাহী শহরের পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলের শিক্ষক। পরিশ্রমী এবং মেধাবী এই শিক্ষক অনেক কষ্ট করেই শহর থেকে গ্রামে গিয়ে কৃষি তথ্য জাদুঘরটির উন্নয়নের লক্ষে নিরলস ভাবেই কাজ করছেন।
৪১. দেশের প্রথম কৃষি জাদুঘরঃ
দেশের একমাত্র কৃষি জাদুঘর ময়মনসিংহে। প্রাচীনকালে ব্যবহৃত কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি আজ বিলুপ্তপ্রায়। আধুনিককালে শহরের মানুষ সহ গ্রামের কৃষকদের সন্তানেরাও আজ ভুলতে বসেছে সেই ঐতিহ্যর কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষকের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। কৃষি ও কৃষকের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের উপকরণ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম কৃষি জাদুঘর।
৪২. মৎস্য জাদুঘরঃ
এশিয়ার সর্ববৃহৎ মৎস্য জাদুঘর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসেন ‘ফিশ মিউজিয়াম এন্ড বায়োডাইভার্সিটি সেন্টার (এফ.এম.বি.সি.)’ স্থাপন করেন।
ফিশ মিউজিয়াম এন্ড বায়োডাইভার্সিটি সেন্টার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন একটি জাদুঘর। যুক্তরাজ্যের স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) মাধ্যমে এ জাদুঘর করা হয়েছে।
৪৩. ময়নামতি জাদুঘরঃ
শ্রীভবদের মহাবিহার, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবানমুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার, রানীর বাংলা, ও ভোজ রাজার বাড়ি বিহার খননকালে অনেক মুল্যবান পুরাসামগ্রী খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পুরাবস্তু সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য ১৯৬৫ সালে কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহারের দক্ষিণ পাশে শালবনকে সামনে রেখে পশ্চিমমুখী একটি জাদুঘর স্থাপন করা হয়।
৪৪. কুমিল্লা জাদুঘরঃ
গ্রামীণ জীবনের অনেক জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অধিকাংশ শিশু কৃষি যন্ত্রপাতি, খড়ম, ঢেঁকি, মাছ ধরার চাঁই, হারিকেন এসবের নামও জানে না। এ অবস্থায় নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ সংস্কৃতির ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য কুমিল্লা নগরীর শিশু উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে ‘কুমিল্লা জাদুঘর’। ২ হাজারের বেশি দুর্লভ জিনিসপত্র রাখা আছে এখানে।
৪৫. পাথরের জাদুঘরঃ
ঘরের ভেতর নদী থেকে পাওয়া দু’টি বিশালাকার নৌকাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মিউজিয়ামের মাঝখানে। পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের ভেতর ঢুকলেই নজরে আসবে এসব চিত্র। এটি আসলে একটি পাথরের জাদুঘর। যাকে বলা হচ্ছে রকস মিউজিয়াম।
৪৬. ভুমি জাদুঘরঃ
কুড়িগ্রাম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ (বাসস) : ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তিতে ভীতি দূর করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভূমি অফিসকে ‘ভূমি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
৪৭. অ্যানাটমি জাদুঘরঃ
এই যেন এক কঙ্কালের রাজ্য, পুরোটা কঙ্কালপুরি। চারদিকে সারি সারি বিভিন্ন প্রাণীর কঙ্কাল । এক শিহরণ-জাগানিয়া পরিবেশ। এই বুঝি কামড় দিয়ে বসল হাঁ করে থাকা কুমির ও সাপের কঙ্কাল। অনেক উঁচুতে থাকা উট ও হাতির কঙ্কালের মাথা ছোঁয়াই দায়। জাদুঘরে চারদিকে আরো আছে বিভিন্ন ছোট-বড় প্রাণীর ট্যাকসিডার্মি, যেগুলো সত্যিকার অর্থেই জীবন্ত প্রাণী বলে মনে হবে। বিচিত্র এই প্রাণিজগতের হাজারো প্রাণের এক রোমাঞ্চকর সমন্বয় রয়েছে এই অ্যানাটমি জাদুঘরে। এখানে প্রায় সব প্রজাতির গৃহপালিত প্রাণীর পাশাপাশি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর কঙ্কাল ও ট্যাকসিডার্মি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নামসহ পরিচিতি রয়েছে।
৪৮. তোষাখানা জাদুঘরঃ
দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন। এ লক্ষ্যে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধনকালে এ কথা জানান। খবর বাসসের।
৪৯. উত্তরবঙ্গ জাদুঘরঃ
কুড়িগ্রামে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের নিজস্ব ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
৫০. সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতামহ (দাদা) শেখ লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত টেবিলটির ঠাঁই হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে। ফরিদপুর জেলাধীন ভাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত চৌকি আদালত থেকে গেলো সপ্তাহ টেবিলটি নিয়ে আসা হয় সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান টেবিলটি গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ডে অবস্থিত মিউজিয়ামে রেখে দেন।
৫১. সখীপুরে আরেক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
৫১. রাজধানীর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে হচ্ছে দেশের প্রথম সংবাদ জাদুঘরঃ
২০০৯ সালে দেশের সকল সংবাদ মাধ্যমের সমন্বয়ে সংবাদের একটি জাদুঘর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ন্যাশনাল নিউজ কালেকশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় শিগগিরই ৬৪ জেলার তিন সহস্রাধিক সংবাদপত্র ও অন্য সকল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও প্রতিষ্ঠাতাদের জীবন ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি জাতীয় ক্রমোন্নতি দৈনিন্দিন সংবাদচিত্রে প্রদর্শনী কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে।
৫২. জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরঃ
গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেস্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের গণভবন, গণ’র (গণমানুষ) ভবন হয়ে উঠতে পারেনি। গণভবনকে যেহেতু দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জয় করেছে, এটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
–মাসুম বিল্লাহ, ইমেইলঃ masumbillaheditor@gmail.com