বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রায় ১৮০ কোটি মুসলমানের জন্য পবিত্র রমজান বয়ে আনে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা। আত্মশুদ্ধি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এই একমাস ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রমজান মুসলমানদের ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস হলেও দেখা যায়, অনৈতিকভাবে প্রতিবছর রমজান মাসে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, বিষয়টি যেন একটি স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীত চিত্রের দেখা মেলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এসব দেশ রমজান উপলক্ষে বড় বড় চেইনশপ থেকে শুরু করে ছোট দোকানে দেয় বিশাল বিশাল ছাড়। ক্রেতাদের কে কত বেশি মূল্য ছাড় দিতে পারে সেটা নিয়ে চলে রীতিমতো প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ছাড়ের মাত্রা কখনো কখনো ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়। মূলত রোজাদারের অর্থকষ্ট লাঘবের পাশাপাশি অধিক সওয়াবের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে এমন ছাড় দেন বিক্রেতারা। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর ঘোষণা এবং সেগুলোর মূল্য তালিকা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়। বিস্তারিত দেশরূপান্তরে
প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান উপলক্ষ্যে ৯০০ পণ্যের দাম কমালো কাতার। ২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল, ২০২২ সালে কমিয়েছিল আট শতাধিক পণ্যের। খবর গালফ টাইমসের। বিস্তারিত যুগান্তরে
বাংলাদেশে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হিড়িক পড়ে যায়। সেখানে কুয়েতের দৃশ্য পুরোপুরি ভিন্ন। দেশটিতে রমজান আসার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্যছাড়ের ঝড় বয়ে যায়। কে কত কম দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারে, বিভিন্ন মার্কেটে তা নিয়ে রীতিমত চলে প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই সেখানকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও। –বাংলাভিশননিউজ