সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা সাংবাদিকদের কাজ। আর একাজে রাষ্ট্র তাদের সহযোগিতা করবে। চেহারাতুল্য রাষ্ট্রে কালিমা লেপন হলেও আয়নাতুল্য সাংবাদিক যদি রাষ্ট্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়; তাহলে সাংবাদিকতার যেমন লক্ষ্যচূতি ঘটবে তেমনি রাষ্ট্রকেও গ্লানি বহন করতে বাধ্য হবে।
সাংবাদিকরা শুধু সরকারেরই নয়; বুদ্ধিজীবিদেরও সমালোচনা করে থাকে। অথচ সাংবাদিকদের অমর্যাদা পদে পদে পরিলক্ষিত। একজন ডাক্তার জীবনের এক পর্যায়ে নিজে একটি হাসপাতাল গড়ে যেতে না পারলেও কমপক্ষে একটা চেম্বার না হয় একটা ওষুধের দোকান দিয়ে জীবনের পড়ন্ত বিকালের সময়টা ভালো কাটাতে সক্ষম হন। একজন আইনজীবি কিংবা একজন শিক্ষকও একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হয় একটা কোচিং সেন্টার দিয়ে হলেও জীবন জীবিকার পথ খুঁজে পায়।
একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক তার শেষ জীবনে ভিক্ষার হাত নিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডের দুয়ারে দাড়াতে হয়। সে ফান্ডের পরিচালকদের বিপক্ষের কোনো সাংবাদিকদের কপালে আর কিছু জোটার সম্ভাবনা থাকেনা। নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যম পরিচালনায় প্রয়োজন নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন পৃষ্ঠপোষকতার। রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বহীন সাংবাদিক দিনদিন দালালে পরিণত হয়। তার আর কলমের খোঁচায় বাঘতো দূরের কথা বিড়ালও উঠে দাড়ায়না।
সমাজের দূরাবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে নিজের চুলোয় আর চাল ওঠেনা। সাধারণ সভ্য সমাজে আর তাদের আসন খুঁজে পায়না। পারফিউমের সুগন্ধে বিমোহিত না করে ঘামের গন্ধে নিজেকে পিছনের সারিতে সরে যেতে হয় আপন ইচ্ছায়। জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকরা এখন আপনার সংসারের সবচেয়ে বড় বেয়াক্কল ও বিবেকহীন হয়ে বসছে।
এমন অধপতন থেকে সাংবাদিকতাকে ফের সম্মানের আসনে উপনীত করতে আমাদের কি করণীয় মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান সংগ্রহ বার্তা সম্পাদক