দিদির সাম্প্রতিক কয়েকটি স্ট্যাটাস আমাদের জাতীয় পত্রিকায় বুক ফুলিয়ে ছাপিয়েছে I দৃষ্টিগোচর হওয়াতে উৎসাহ নিয়ে দিদির পেজে উঁকি মেরেছিলাম I
ওখানে দেখলাম দিদির কোমর ভাঙার জন্য ইচ্ছামতো ডাক্তারদের বাক্যবোমা ছাড়ছেন I একটু অবাক হয়েছি প্রথমেই কারণ, এই প্রথম দিদি মুসলিম ব্যতীত অন্য কাউকে এভাবে অনৈতিকতার দায় চাপিয়ে বাক্যবোমায় জর্জরিত করছেন I বিশ্বাস না হলেও যাচাইপর নিশ্চিত হলাম তিনি ইচ্ছামতো আক্ষেপ ঝেড়েছেন এবং বিষয়টি সঠিক ও মর্মান্তিক I কিন্তু পাদটীকায় একটি লাইন লিখেছেন যে , ভারতের ডাক্তাররা তাসু দিদিকে ভেবেছিলো বাংলাদেশী মুসলিম I এমন ভাবার কারণেই সঠিক ট্রিটমেন্ট না দিয়ে ভুল চিকিৎসায় দিদিকে পূর্ণাঙ্গভাবে পার্মানেন্ট পঙ্গু করে দিয়েছে I
আজকের লেখাটা আমি লিখতামনা যদি দিদি তার পাদটীকাটা এই ভাষায় না লিখতেন I ওই লাইনটুকুর সঠিকতা কি আছে জানিনা I তবে বাংলাদেশের মুসলিমরা ভারতের চিকিৎসার উপর যথেষ্ট আস্থা আছে নিঃসন্দেহে এটা প্রমাণিত I নইলে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হিন্দুস্তানে যেতোনা I
ফিরে আসি দিদির পাদটীকায় I
দিদির পাদটীকার লাইন থেকে আমার মনে কয়েকটি প্রশ্ন জেগেছে I তা হলো ,
* তার মানে দিদি জানতেন যে মুসলিমদের এভাবে অপ- চিকিৎসা করানো হয় I জেনেও দিদি কখনোই বিষয়টি নিয়ে কথা না বলাটায় প্রমান করে দিদি কোনোভাবেই একজন মানুষের পর্যায়ে পড়েনা I কারণ দিদি ধর্মকে পছন্দ না করুক , অন্তত মানুষ হিসেবেও অন্য মানুষের প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলা তার প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল I
* দিদি সেলফ কন্ট্রাডিক্টরি কথা বলেছেন I তিনি বলেছেন সেখানে তার খুব কাছের পরিচিত দুইজন রেফারেন্স দিয়ে এনেছে I তাহলে তাকে না চেনার কারণ খুঁজে পাওয়ার যুক্তি পেলামনা I
* দিদি একজন প্রতিষ্ঠিত প্রখ্যাত লেখিকা I শুধুমাত্র মুসলিম বিদ্বেষের কারণে তার যথেষ্ট আদর আপ্যায়ণ সকল ক্ষেত্রেই আছে I সুতরাং দিদিকে না চেনার কারণ অযৌক্তিক I
-ফেস দ্যা পিপল এর প্রধান আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক সাইফুর সাগরের বিশ্লেষণধর্মী লেখার অংশবিশেষ হুবহু তুলে ধরা হল।