দুটো ঘটনা বলি। শুনবেন? আমার এক সাবেক সহকর্মী। খুব ভালো মানুষ। সহজ মানুষ। এক সঙ্গে অনেক দিন কাজ করেছি। কোনোদিন কোনো ঝামেলা হয়নি। তারপর সে চলে গেল প্রথম আলোতে। তার কয়েক বছর পর আমি চলে আসি আমাদের সময়ে। তো ফেসবুকে মাঝে মাঝে কথাবার্তা হয়। তার পরিবারের সঙ্গেও অামার যোগাযোগ ছিল। ভাবীর সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা হতো কমলাপুর স্টেশনে। আমি তাদের বাসায়ও গেছি। একদিন হঠাৎ মনে হলো, অনেক দিন তাকে ফেসবুকে দেখিনি তো! কী হলো! খবর নিতে গিয়ে দেখি আমি আনফ্রেন্ড। খুব অবাক হলাম। কিছুটা অপমানিতও বোধ করলাম। একবার মনে হলো, থাক! সে না থাকলে আমার কী এমন আসে যায়! কিন্তু আমাকে বাদ দিতে হলো কেন? আমি এতটাই অবাঞ্চিত কেন হলাম? খুব জানতে ইচ্ছা করল। আমি তাকে মেসেঞ্জারে নক দিয়ে বললাম, ভাই আমি এমন কী করেছি যে আমাকে ফেসবুক থেকে বাদ দিতে হলো? সে খুব অল্প সময়েই রিপ্লাই দিলো। বলল, আমিও জানতাম না আপনি আমার বন্ধুতালিকায় নাই! এখন দেখলাম। হয়তো বিশ্বাস করবেন না। তবু বলি, বাদ দেনেওয়ালা আমার বউ। আমি না। কী ভেবে সে আমার বেশ কিছু নারী বন্ধুকে বাদ দিছে, আমি জানি না। আপনিও মনে হয় সেই তালিকায় পড়ে গেছেন। আমি দুঃখিত!
বললাম, ওকে! নিরাপদে থাকেন!
আরেকটি ঘটনা। আমার এক বর্তমান সহকর্মী। যদিও সে আমার খুব একটা ঘনিষ্ঠ না। দেখা হলে হ্যালো পর্যন্ত। একদিন সে নিজেই বলল, আমি আপনাকে ফেসবুক থেকে বাদ দিয়েছি। কারণটা পারিবারিক। শুধু আপনাকে না। অধিকাংশ নারীবন্ধুকেই বাদ দিয়েছি। আবার আপনাকে রিকোয়েস্ট পাঠাব। অ্যাকসেপ্ট করবেন প্লিজ!
আমি মনে মনে বললাম, নিরাপদে থাকুন!
অথচ আমি আজ কিছু বন্ধু বাদ দিতে গিয়ে বিরাট বেকায়দায় পড়েছি। কাকে রেখে কাকে বাদ দিব? কেনোই বা দিব। কত কত দিন ধরে সঙ্গে আছে, থাক না! আমার তো আর তাদের ভাত- মাছ দিতে হচ্ছে না! এদিকে বন্ধুর কোটা প্রায় পূর্ণ । কত ভালো মানুষকে জায়গা দিতে পারছি না!