২০১১ সালে যে পরিকল্পনায় দেশে প্রথম বারের মতো সংবাদ মেলার আয়োজন করা হয়। তার রূপকল্প সকলের সামনে তুলে ধরা হলঃ
১. পুস্তক প্রকাশকরা যেমন বই মেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের বাৎসরিক সাফল্যচিত্র সরকার ও জনগণের সামনে তুলে ধরেন তেমনি পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশকরা সংবাদ মেলায় অংশগ্রহণ করে সবার সামনে তাদের বাৎসরিক সাফল্য তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।
২. পুস্তক প্রকাশকরা যেমন ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে বই মেলার আয়োজন করেন তেমনি পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশকরা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসকে কেন্দ্র করে সংবাদ মেলার আয়োজন করবেন।
৩. প্রত্যেক পুস্তক প্রকাশক ১১টি মাস অধীর আগ্রহে ফেব্রুয়ারি মাসের উৎসবমুখর পরিবেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন ঠিক তেমনি পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশকরা ডিসেম্বর মাসের অপেক্ষায় থাকবেন।
৪. পুস্তক প্রকাশকরা যেমন বই মেলাকে লেখকদের মিলনস্থলে পরিণত করেন তেমনি পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশকরা সংবাদ মেলাকে সাংবাদিকদের মিলনস্থলে পরিণত করবেন।
৫. বই মেলায় যেমন লেখকদের লেখার মূল্যায়ন করা হয়; ঠিক তেমনি সংবাদ মেলায় সাংবাদিকদের সংবাদের মূল্যায়ন করা হবে।
৬. পুস্তক প্রকাশকরা যেমন তাদের কর্মসাফল্যের তুলনা একটি প্লাটফর্মে দেখার সুযোগ পায়; তেমনি পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশকরা তাদের কর্মসাফল্যের তুলনাও একটি প্লাটফর্মে দেখার সুযোগ পাবেন।
৭. অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে পুস্তক প্রকাশকরা লাভবান হচ্ছেন; অন্যদিকে অনলাইনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ছে পত্রিকার প্রকাশনা। এমন সব সমস্যা ও প্রতিকারে সংবাদ মেলা হবে পত্রিকা প্রকাশনা টিকিয়ে রাখার অবলম্বন।
৮. বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় প্রতিবছর কতটি পত্রিকার জন্ম হয় এবং কতটি পত্রিকার মৃত্যু হয় সেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে সাংবাদিকদের সংবাদ মেলায়।
৯. বই মেলায় জেলাভিত্তিক কোনো কার্যক্রম প্রদর্শন করেনা কিন্তু সংবাদ মেলায় দেশের ৬৪টি জেলার ক্রমোন্নতি সংবাদচিত্রে প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
১০. পুস্তক প্রকাশকরা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে বই মেলা উৎসব করেন তেমনি পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশকরা মোহাম্মাদপুর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে সংবাদ মেলা উৎসব করবেন।
১১. বই মেলায় বই বিক্রির মাধ্যমে পুস্তক প্রকাশকরা লাভবান হন; কিন্তু সাংবাদিকদের সংবাদ নগদে বিক্রির যেহেতু কোনো উপায় নাই তাই সংবাদ মেলায় প্রবেশ মূল্যসহ দেশের বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এ মেলার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন আয়োজকগণের অনেকেই আপনি কি মনে করেন?