মাইনে বিহীন মানে বিনে পয়সার সংবাদ কর্মীর সংখ্যাই প্রবাসে শতকরা ৯৯ জন।
বিবেকের তাড়না এবং সত্যকে তুলে ধরতেই তারা সংবাদ প্রতিবেদন করে থাকেন। বেশির ভাগই পেশাদারী কোয়ালিটি রক্ষা হয় না তারপরও এই বিনে পয়সার সংবাদ কর্মীরা দিয়ে যান তাদের সকল শ্রম এবং মেধা। এই শ্রমের মূল্য কোন মালিককেই প্রদান করা সম্ভব নয়। খান লিটন এমনই একজন প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে উকিল নোটিস এবং মামলার হুমকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন একজন রাষ্ট্রদূত তা মোটেই কাম্য নয়। খান লিটন দূতাবাসের অনিয়ম নিয়ে লিখেছেন। দূতাবাসের দায়িত্ব সেবা প্রদান করা। খান লিটনের কাছে ভুক্ত ভূগি প্রবাসীরা এসেছেন তাদের সমস্যা নিয়ে। পাসপোর্ট জটিলতা নিয়ে। সেখানে ঘটা অনিয়ম নিয়ে। তিনি লিখেছেন সাধারণ প্রবাসীদের সমস্যার কথা। তাদের সাথে ঘটা অন্যায়ের কথা। এখানে সংবাদ কর্মীর নিজের স্বার্থটা কি? রাষ্ট্রদূত তার নিজের চাকুরী পোক্ত করবেন। এক্সটেনসন করবেন। করতেই পারেন। রাষ্ট্রদূত আমাদের যাবেন আসবেন থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রশ্ন হলো, সাধারণ প্রবাসীদের সেবা? একটি উদাহরন আমি দিচ্ছি যেটা খান লিটনের কাছ থেকেই জানা। বিষয়টি ছিল এমন। ফ্রাংকফোর্টে ভ্রাম্যমাণ কনসুলেট সেবার তারিখ দেয়া হয়েছিল কিন্তু নির্ধারিত তারিখে কর্মকর্তারা সেখানে কনসোল সেবা দেন নি। বিনা নোটিসে তারা সেই দিনের কর্মসূচি বাতিল করেছেন। সাধারণ প্রবাসীরা সেদিন সেবা পেতে ছুটি নিয়ে রেখেছিলেন অনেকেই। সমস্যা থাকতেই পারে। তবে যথাসময়ে সবাইকে জানিয়ে কনসেল সেবা প্রদানের কর্মসূচিটা দূতাবাস বাতিল করতে পারতেন তাই না? — একজনের পাসপোর্টে অন্য জনের নো ভিসার ষ্টিকার লাগিয়ে দেয়াটা কি ভূল না? এমন ভূলের জন্য ঐ ভুক্তভোগীর কাছে সরি না বলে উল্টো গরম ভাব দেখানো কি দূতাবাসের পেশাধারী দুতালী কাজ হবে। — ভূল হতেই পারে তবে ভুলকে ভুল বলতে হবে। মিলেমিসে সবাইকে দেশের স্বার্থে দশের স্বার্থে প্রবাসীদের স্বার্থে কাজ করতে হবে। কারো বা কোন গোষ্ঠির স্বার্থ দেখতে গেলে ভুলের পর ভুল হতেই থাকবে। বানিজ্য বন্ধ করে সেবা দেবার পথে হাঁটতে হবে। — আমরা অনুরোধ জানাবো, রাষ্ট্রদূত সাধারণ প্রবাসীর স্বার্থ দেখবেন। সেবা প্রদান করবেন। সংবাদ বা প্রতিবেদনে অসত্য থাকলে তা প্রেসি আইনে সমাধান করুন, উকিল নোটিস, মামলার হুমকি দিয়ে নয়। – শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। উকিল নোটিস তুলে নিয়ে প্রবাসীদের সমস্যা গুলোর সমাধানে এগিয়ে আসুন। কেই দূতাবাসের শক্রু নয়। খান লিটন মতাদর্শিক ভাবেও সরকারী দলের সাথে যুক্ত।সুতরাং তিনি দূতাবাসকে কখনো নিজের শত্রু বানাবেন না এটাই স্বাভাবিক। — প্রবাসী সাংবাদিক বন্ধুগণ, অনিয়ম নিয়ে লিখলে, প্রতিবেদন করলে, এমন বিপদ হুমকি আসতেই পারে। তবে ইউরোপে মনে হয় এই প্রথম এমন একটি কাজে হাত দিলেন জার্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। সবাই সত্য প্রকাশের স্বার্থে নিজেদের বক্তব্য নিয়ে হাজির ইউন। নতুবা আগামীকাল আপনি ও পড়তে পারেন এমন হুমকিতে। যুক্ত হউন প্রতিবাদ এই কর্মসূচিতে। সবাইকে ধন্যবাদ।