‘মুই মাদ্রাসার ছাত্রতো!
হেইরলইগ্যা মোর গোলাপ ফুলও দ্যাকতে ইচ্ছা হরে না।’
গ্রামের প্রাইমার স্কুল শেষে ক্লাস ফোরে ( ইয়াজ দাহম) ভর্তি হয়েছিলাম পাথরঘাটা মাদ্রাসায়। সহপাঠীরা বেশিরভাগ ছিলেন বয়সে বড় । টু থ্রিতে আমার থেকে বেশি বয়সীরা ছিলেন। এমনই একজন ছিলেন গাংপাড়ের দুলাল মামুর ছোট ভাই আলাল মামু। আলাল মামু তখন ক্লাস থ্রির ছাত্র। মাদ্রাসার ছাত্রদের জীবনাচরণ কেমন হওয়া উচিত তা বোঝাতে বলেছিলেন, ‘মুই মাদ্রাসায় পড়িতো!
হেইরলইগ্যা মোর গোলাপ ফুলও দ্যাকতে ইচ্ছা হরে না।’
মাদ্রাসায় ভর্তির প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে আলাল মামুর দেয়া দিক্ষা জীবনের অনেক বড় শিক্ষা ।
ঘোর কাটলো ক্লাস ফোরেরই বাংলা পাঠ্য বইয়ে’র সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত’র ‘ফুলের ফসল’ কবিতা
জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি’
দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার
ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী!
বাজারে বিকায় ফল তণ্ডুল
সে শুধু মিটায় দেহের ক্ষুধা,
হৃদয়-প্রাণের ক্ষুধা নাশে ফুল
দুনিয়ার মাঝে সেই তো সুধা!
এখনো চারদিকে আলাল মামুদের দেখি!