ক্রিকেট খেলা নিয়ে অনেক মাতা-মাতি করেছি যেহেতু বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলেছে। ফুটবল বিশ্বকাপে আগ্রহ থাকলেও আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিতর্কের কারণে নিরব রয়েছি। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্পর্কে দু’টি কথা না বল্লেই নয়।
এবার ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। মরুর বুকে সেই বিশ্বকাপেই যেন বিশ্বজুড়ে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্বোধনী আয়োজন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে কাতার।
আয়োজকরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলো আগের সব বিশ্বকাপ থেকে আলাদা হবে মরুভূমির বুকের এবারের বিশ্বকাপ মহারণ। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যতিক্রমি আয়োজনের মধ্যে রয়েছে;
১. ম্যাচের সময় আল-বায়াত স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের জন্য প্রতিটি সিটে একটি করে উপহারের ব্যাগ রাখা হয়েছে, যার ভেতরে থাকছে মুসলিমদের পবিত্রতা আর সৌন্দর্য্যের অন্যতম অনুষঙ্গ সুগন্ধি আঁতরসহ ইসলামিক উপহার সামগ্রী।
২. স্টেটেডিয়ামে অন্য দেশের দর্শকদের জন্যই খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ ঘোষণা।
৩. বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে নামাজের জায়গা এবং অজুর ব্যবস্থা।
৪. আজান প্রচারের জন্য স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে মাইক্রোফোন। মসজিদে সাধারণ মুয়াজ্জিনের পরিবর্তে আনা হয়েছে সুন্দর কন্ঠধারীদের।
৫. বিশ্বকাপের ভেন্যু, হোটেলসহ পুরো আয়োজনের সব জায়গাতেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী প্রচারের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য্য তুলে ধরা হয়েছে।
৬. আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য ২ হাজার সদস্যের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ১০টি বিশেষ গাড়ি এবং থাকার জন্য বিশেষ ১০টি অস্থায়ী তাবু।
৭. কাতারের সবগুলো হোটেলের কক্ষতে একটি করে বারকোড রয়েছে, যা সবাইকে ইসলামের শিক্ষা, হাদিস এবং মুসলিম বিশ্বাস ও সৌন্দর্য্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে।
৮. আগত দর্শনার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ইসলামিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বিশ্বকাপ চলাকালীন। Written by: M Abdul Matin