জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী তার সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হন। নারীদের বিরুদ্ধে হিংসা সবচেয়ে বড় ‘মানবাধিকার লংঘন’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি, অর্থনৈতিক চাপ ইত্যাদি কারণে নারীরা বেশি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আরো কঠিন আইন নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থেকে শুরু করে যৌন হয়রানি, ছবির অপব্যবহার-নানাভাবে অনলাইনে হিংসার সম্মুখীন হন নারীরা। এই বিদ্বেষের কারণে নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই পিছু হটে যেতে বাধ্য হন। অথচ বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য নারী স্বাধীনতা ও নারীদের মৌলিক অধিকারগুলোকে আরো বেশি করে সম্মান দিতে হবে। তিনি বলেছেন, নারীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হিংসার অবসান ঘটাতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে জাতীয় সরকারকে এই মোকাবেলায় যত দ্রুত সম্ভব নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। সেই পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে আইনে কিছু বদলও করতে হবে। ওই আইনগুলো আদৌ কাজে আসছে কি না, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এনডিটিভি। –ইনকিলাব
চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ১৪৯ জন, অর্থাৎ গড়ে মাসে ১৬ জনের বেশি নারী স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। আর স্বামীর পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হয়েছেন ৩৪ জন। এর বাইরে পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেন ৩৯ জন নারী। এ ছাড়া শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন তো ছিলই। –প্রথমআলো