সুরকার ও শিল্পী দৌলত হাসান ও সদ্য প্রয়াত শিল্পী আকবর রাজধানীর মিরপুর এলাকায় থাকত। সেই সুবাদে আমার সাথে আকবরের সাথে দেখা হয়। প্রথম দেখাতেই অনেক স্মৃতি চারণ করা হয়। আকবর যশোরেই রিক্সা চালাত যে শহরের অধিবাসি আমার বড় ভাই। তার নাম বলতেই আকবর চিনে ফেলে। তাছাড়া আমিও এমএম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র শুনে আকবর অনেক কথা বলে ফেলে। তার বিগত জীবনের কষ্টের চেয়েও বর্তমানে আরো বেশি কষ্টের জীবনের কথা বলছিল। সামান্য রিক্সওয়ালা থেকে উঠে আসা আকবর নিজেরে বড়ত্ব কিংবা কোনো প্রকার অহমিকা দেখায়নি। আমাকে পেয়ে সে যেন তার আগের জীবনে ফিরে গেলো। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে হানিফ সংকেতের প্রতি তার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলল আমি নগন্য আকবরের চিকিৎসার সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর এতদূর পর্যন্ত পৌছার পিছনে হানিফ সংকেতের অবদান আমি ও আমার পরিবার সারাজীবন স্মরণ করব।
এমনসব কথা যে আকবর আমার সাথে শেষ বারের মতো বলেছিল; তা আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলে আরো কিছুটা সময় ওকে দিয়ে আসতাম। আজ ১৩ নভেম্বর অনলাইনে ওর মৃত্যুর খবর পেয়ে দৌলত হাসানকে ফোন করি। সে আকবরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। পরবর্তিতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে প্রথমআলোয় ও দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
মানুষ কত কম সময় পায়। অল্প সেই সময়ে অনেকেই আর তার ঘর গোছাতে পারেনা। আকবরের জীবনেও সুখের একটু ছোঁয়া লেগেছিল কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলনা। আমরা জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি ও সংগ্রহ বার্তা পরিবার তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।