পেশাগত সাংবাদিকতা ছেড়ে তিন যুগ আগে মাতৃভূমি ছেড়ে এসেছিলাম জার্মানিতে উন্নত জীবন যাপনের জন্য। পাসপোর্টের রং পরিবর্তন হয়েছে এতদিনে, বুড়োর দলে আবেদন করেছি, অর্থ – সন্মান খুব একটা না, প্রজন্ম খুঁজবে না শিঁকড। ফিরে যাবার আকুতি প্রবল, অবস্থার কাছে প্রবলতা বড় দূর্বল ও বেমানান।
আমাদের যৌথ পরিবারের প্রাণ ভাতিজা সগিরের উৎসাহ ও প্রেরণায় জার্মান থেকে ৩ অক্টোবর.২০২২ গিয়েছিলাম স্বপ্নের আমেরিকা ও কানাডা। আজ ফিরে এলাম জার্মানিতে। খুবই ইচ্ছা ছিলো আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে নিউইয়র্ক লিবার্টি টাওয়ার দেখবো এবং আমার ভিউয়ার্সদের দেখাবো। স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে তবে শরীর ভাল না থাকায় ও আবহাওয়া খারাপ থাকায় জোস করে দেখতে ও দেখাতে পারিনি। তবে নিউইয়র্কে যা কিছু সম্ভব হয়েছে সবই সম্ভব হয়েছে বন্ধু তোফাজ্জল ও মরিয়ম ভাবীর জন্য। এমনকি নিউইয়র্কে অসুস্থ হয়ে পরলেও তারা দেখাশুনা করেছেন। এই স্বপ্নের নিউইয়র্কে বেশীর ভাগ বাংলাদেশি পরিবার পরিজন (বাবা মা শ্বশুড় শ্বাশুড়ীও) সহ থাকেন এবং ভাল আছেন। টেক্সাস প্রদেশের ডালাসে থাকে ভাতিজা সেতু। এই গরম প্রধান শহরটি ব্যাবসা ও সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত। ১৭১ বছরের পুরানো ঐতিহ্য বহন করে। এখানকার মেয়র এরিকসন একজন বিদেশী বান্ধব মানুষ।
গিয়েছিলাম বাল্যবন্ধু মিজানের বাসায়, সে থাকে প্রশান্ত মহাসাগরের ক্যালিফোর্নিয়ার লস এনজেলস এর গেলেন্ড শহরে। তার ও মাহমুদা ভাবীর সৌজন্যে দেখা হলো প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্র সৈকত, হলিউড শহর, ডিমিত অবজারভেশন পাহাড়, ইউনিভার্সাল স্টুডিও, গেলেন্ড শহর। পরের দিন প্রায় ৫ শত মাইল গাড়ি চালিয়ে এরিজনা প্রদেশের মিলিয়ন বছরের পুরানো সপ্তম আশ্চর্য Grand Canyon National park দেখাতে নিয়ে গেল।
পরের দিন ন্যাভাদা প্রদেশের বিশ্ববিখ্যাত কাসিনো শহর Las Vegas দেখলাম। যে শহর রাতে ঘুমায় না। রংঙিন আলোর ঝলমলে উৎসবের শহরে প্রতি রাতে বিলিয়ন ডলারের কাসিনো খেলা হয়। এই শহরে San Antonio টেক্সাস থেকে এসে সময়কে আনন্দময় ও হাসিখুশী করেছিলো বন্ধু মনির। মিজানের কারণে এত কিছু দেখা সম্ভব হয়েছে।
আল্লাহ সবাইকে ভাল রাখুন। জানিনা আর দেখা হয় কিনা ! আজ স্বপ্নের আমেরিকা ঘুরে ফিরে যাচ্ছি জার্মানিতে ।মধ্য আকাশ থেকে লেখা